Afghanistan Blasts: ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে বিস্ফোরণ ৩টি মিনিবাসে, রেহাই মিলল না প্রার্থনার সময়ও! পরপর হামলায় মৃত একাধিক

Afghanistan Blasts: মাজ়ার-ই-শরিফে পরপর তিনটি মিনিবাসে তিনটি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১৫ জন।

Afghanistan Blasts: ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে বিস্ফোরণ ৩টি মিনিবাসে, রেহাই মিলল না প্রার্থনার সময়ও! পরপর হামলায় মৃত একাধিক
ফের রক্তাক্ত আফগানিস্তান। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 6:14 AM

কাবুল: একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের (Afghanistan) রাজধানী সহ একাধক এলাকা। বুধবার একদিকে যেমন কাবুলের (Kabul) একটি মসজিদে বিস্ফোরণ হয়, তেমনই দেশের উত্তরে অবস্থিত মাজ়ার-ই-শরিফে পরপর তিনটি মিনিবাসে বিস্ফোরণ হওয়ায় একাধিক মৃত্যু হয়েছে। আফগান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মোট চারটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অনেকে।

কাবুলের কম্যান্ডারের মুখপাত্র জানান, বুধবার বিকেলে কাবুলের একটি মসজিদে বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় হাসপাতালের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে পাঁচটি দেহ নিয়ে আসা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২ জন। এছাড়াও বিস্ফোরণের জেরে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১২ জন। এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তালিবান আধিকারিক জানিয়েছেন, মসজিদের ভিতরেই কোথাও বিস্ফোরক রাখা ছিল। প্রার্থনা চলাকালীন আচমকা বিস্ফোরণ হয়। কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রায় একই সময়ে বিস্ফোরণ হয় দেশের উত্তর অংশে। মাজ়ার-ই-শরিফে পরপর তিনটি মিনিবাসে তিনটি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১৫ জন। বালখ প্রদেশের কম্যান্ডার মহম্মদ আসিফ ওয়াজ়েরি জানান, শিয়া সম্প্রদায়কে নিশানা করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। কারা এই হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরই একাধিকবার শিয়া সম্প্রদায়ের উপরে হামলা চালিয়েছে আইসিস-খোরাসান। এই হামলার পিছনেও তাদের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বালখ প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্রও জানান, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দাঁড়ানো ছিল ওই তিনটি মিনিবাস। একই সময়ে তিনটি বাসেই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় কমপক্ষে ৯-১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, রমজান শেষদিনেও কাবুল সহ একাধিক শহরে একই ধরনের হামলা চলে, যার জেরে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল ইসলামিক স্টে গ্রুপ। ২৯ এপ্রিল কাবুলের একটি সুন্নি মসজিদে বিস্ফোরণ হয়, মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১০ জনের। তার আগে ২১ এপ্রিল মাজ়ার-ই-শরিফের একটি মসজিদেও বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত হন আরও অনেকে। ২২ এপ্রিল কুন্দুজের একচি মসজিদেও হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৩৩ জনের।