AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কার দখলে থাকবে পঞ্জশীর? রফা করতে মাসুদের সঙ্গে বৈঠক তালিবান প্রতিনিধি দলের

গতকালই তালিবান বিরোধী শক্তির তরফে টুইট করে বলা হয়, "দুটি রাস্তাই খোলা রয়েছে। হয় ওরা (তালিবান) খারোসানের বাসিন্দাদের মূল্যবোধকে মেনে নিক, নয়তো দ্বিতীয় প্রতিরোধ শুরু হবে।"

কার দখলে থাকবে পঞ্জশীর? রফা করতে মাসুদের সঙ্গে বৈঠক তালিবান প্রতিনিধি দলের
লস্কর গাহের মতোই কি গুড়িয়ে দেওয়া হবে পঞ্জশীর? ছবি:PTI
| Updated on: Aug 25, 2021 | 4:27 PM
Share

পঞ্জশীর: দুই পক্ষের হুমকি-পাল্টা হুমকির পর অবশেষে মাসুদের বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক সাড়ল তালিবান (Taliban)। পঞ্জশীর (Panjshir) ও তালিবান বিরোধী বাহিনীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতেই ৪০ সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসেছিল। তবে বৈঠতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া বয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

পঞ্জশীর নিয়েই বিগত কয়েকদিন ধরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তালিবান। সেখানে আহমেদ মাসুদ(Ahmed Massoud)-র নেতৃত্বে গড়ে ওঠা তালিবান বিরোধী বাহিনী তালিবানের দখল থেকে আফগানিস্তানকে মুক্ত করার ডাক দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ৯ হাজার সেনার এক বিশাল বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহ (Amirullah Saleh)-ও পঞ্জশীরে আশ্রয় নিয়েছেন এবং তালিবানের বিরুদ্ধে লড়ািয়ে সকলকে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

তালিবানের তরফে সম্প্রতিই মাসুদকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছিল , চার ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে। পাল্টা জবাবে মাসুদও একটি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “যুদ্ধ হোক, আমরা সেটা চাই না। তবে তালিবানরা হামলা চালালে আমরাও চুপ করে থাকব না।”

গতকালই তালিবান বিরোধী শক্তির তরফে টুইট করে বলা হয়, “দুটি রাস্তাই খোলা রয়েছে। হয় ওরা (তালিবান) খারোসানের বাসিন্দাদের মূল্যবোধকে মেনে নিক, নয়তো দ্বিতীয় প্রতিরোধ শুরু হবে।” উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই পঞ্জশীরের কাছেই অবস্থিত পোল-ই-হেসার, দেহ সালাহ ও বানু জেলা দখল করে নিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে যদিও তালিবানরা দাবি করে, তারা ফের ওই জায়গাগুলি দখল করে নিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতেই তালিবানের তরফে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পাল্টা জবাবে মাসুদও জানিয়েছিলেন, তিনি আলোচনায় বসতে রাজি। অন্যদিকে, পঞ্জশীরের প্রতিরোধ বাহিনীতে যোগ দেওয়া ভাইস প্রেসিডেন্টও জানিয়েছেন, একমাত্র অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাবই মানা হবে। যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তবে তারা যে কোনও পরিস্থিতিতে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।

রবিবার আহমেদ মাসুদ বলেছিলেন, “আমরা তালিবানদের বোঝাতে চাই যে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। পঞ্জশীর নিয়ে আলোচনা হোক, এটা আমিও চাই। কিন্তু ওরা যুদ্ধ চাইলে আমরাও পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।”  ইতিমধ্যেই পঞ্জশীরের সীমানা জুড়ে একাধিক পোস্ট তৈরি করা হয়েছে নজরদারি করার জন্য। মেশিন গান নিয়ে গোটা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতিরোধ বাহিনীর গাড়ি। সুড়ঙ্গ বানিয়ে এবং বালির দুর্গে মর্টার, মেশিন গান নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে বাহিনী।

অন্যদিকে, তালিবানের তরফেও জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলা হলেও পঞ্জশীরের নেতারা সেই প্রস্তাব না মানায় কয়েক হাজার তালিবান বাহিনী পাঠানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেই ওই পাহাড় ঘেরা অঞ্চল দখল করবে। বিভিন্ন সূত্রে খবর মিলেছে, তালিবানরা পঞ্জশীরে খাবার, জল সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে।  আরও পডুন: বন্ধ বিমানবন্দরের রাস্তা, দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না আফগানরা, কড়া নির্দেশ তালিবানের