AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বন্ধ বিমানবন্দরের রাস্তা, দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না আফগানরা, কড়া নির্দেশ তালিবানের

যারা বিগত এক সপ্তাহ ধরে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন, তাদেরও শহরে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে তালিবান।

বন্ধ বিমানবন্দরের রাস্তা, দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না আফগানরা, কড়া নির্দেশ তালিবানের
বিমানবন্দর থেকে আফগানবাসীদের ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে তালিবান।
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 4:32 PM
Share

কাবুল: একদিনেই মন বদল হয়ে গিয়েছে তালিবানের (Taliban)। সপ্তাহের প্রথম দিনেই নিজের উদারতা প্রমাণ করতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন (Suhail Shaheen) বলেছিলেন, “ভয় পেয়ে দেশ ছেড়ে যাবেন না। আমরা একসঙ্গে সরকার গড়ব। তবে কেউ যদি একান্তই যেতে চান, তাদের আটকানো হবে না।” মঙ্গলবারই ফের মত বদলে অপর মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ (Jabidullah Mujahid) জানান, বিদেশীদের যেতে দেওয়া হলেও আফগান নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দরে যাওয়া থেকে আটকানো হবে।

মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক নতুন ফতেয়া জারি করে তালিবান। মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশীদের বিমানবন্দরে যেতে দেওয়া হলেও আফগানবাসীদের ওই রাস্তা ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না, বিমানবন্দরেও যেতে দেওয়া হবে না।”

যারা বিগত এক সপ্তাহ ধরে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন, তাদেরও শহরে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে তালিবান। একইসঙ্গে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, শহরে ফিরলেও কোনও শাস্তির মুখে পড়তে হবে না তাদের। চাকরিরত মহিলাদের জন্যও ফতেয়া জারি করেছে তালিবান। বলা হয়েছে, সুষ্ঠ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি না করা অবধি মহিলারা যেন বাড়িতেই থাকেন, অফিসে না যান।

গতকালই সেনা প্রত্যাহার ও উদ্ধারকার্য নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিল তালিবান। আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে উদ্ধারকার্য শেষ করার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপরই তালিবানদের তরফে জানানো হয়, ৩১ অগস্টের পর একদিনও বেশি সময় দেওয়া হবে না। ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেশ ছাড়তে হবে, নাহলে পরিণতি খারাপ হবে।

এরপরই মুজাহিদ বলেন, “আমরা আফগান নাগরিকদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেব না আর। যেভাবে তাদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতেও আমরা খুশি নই। আফগানিস্তানের চিকিৎসক ও শিক্ষকরা দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না। তাদের নিজেদের কর্মক্ষেত্রেই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দু’দিন আগেই জানিয়েছিলেন, ১৪ অগস্ট থেকে প্রায় ৭০ হাজর মানুষকে কাবুল থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকের পাশাপাশি আফগানিস্তানের বাসিন্দারাও রয়েছেন। তবে তালিবানের দাবি, বিভিন্ন দেশ মূলত আফগানিস্তানের মহিলা ও শিক্ষিত ব্যক্তিদেরই উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে।

তালিবানের এই নির্দেশের জবাবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পেনস্কি জানান, আমেরিকা যাদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তালিবানের এই নির্দেশে তাতে বিশেষ কোনও ফারাক পড়বে না। মার্কিন নাগরিকরাও সুরক্ষিতভাবেই বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারবেন।

গত সপ্তাহে তালিবানরা কাবুল দখল করার পরই আফগানিস্তানের হাজার হাজার বাসিন্দা বাড়ি ঘর ছেড়ে কাবুল বিমানবন্দরে পালিয়ে আসেন। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার আফগানবাসী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।  আরও পডুন: ‘আপাতত বাড়িতেই থাকুন’, এক সপ্তাহেই মত বদলে মহিলাদের বাড়ি থাকার ফতেয়া জারি তালিবানের!