AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আপাতত বাড়িতেই থাকুন’, এক সপ্তাহেই মত বদলে মহিলাদের বাড়ি থাকার ফতেয়া জারি তালিবানের!

মঙ্গলবার তালিবানের মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, "এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। মহিলা সরকারি কর্মচারীরা যাতে কাজে ফিরতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"

'আপাতত বাড়িতেই থাকুন', এক সপ্তাহেই মত বদলে মহিলাদের বাড়ি থাকার ফতেয়া জারি তালিবানের!
আপাতত ঘরেই থাকতে বলা হয়েছে মহিলাদের। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 4:43 PM
Share

কাবুল: এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বদল। মহিলাদের আপাতত কাজে যোগ দিতে নিষেধ করল তালিবান (Taliban)। যদিও তাদের সাফাই, মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা চিন্তিত। সুষ্ঠ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠন না হওয়া অবধি কর্মরত মহিলারা যেন বাড়িতেই থাকেন।

মঙ্গলবার তালিবানের মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ (Jabidullah Mujahid) বলেন, “এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। মহিলা সরকারি কর্মচারীরা যাতে কাজে ফিরতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া অবধি তারা যেন বাড়িতেই থাকেন।”

১৯৯৬ সালে যখন আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল নিয়েছিল তালিবানরা, সেই সময়ে নারী শিক্ষা ও চাকরি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পর্দার আড়ালেই গৃহবন্দি করে রাখা হত আফগান মহিলাদের। বাড়ি থেকে বেরনোর জন্যও মহিলাদের স্বামী বা রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, এমন পুরুষসঙ্গীদের নিয়ে যেতে হত। পায়ের শব্দ যাতে শোনা না যায়, তার জন্য হিল জুতো পরা নিষিদ্ধ ছিল। গলার স্বরও যাতে শোনা না যায়, সেই কারণে মহিলাদের সবসময় নীচুস্বরে কথা বলতে হত।

২০ বছর বাদে ফের একবার তালিবানের হাতেই দেশের শাসনভার চলে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মানবাধিকার (Human Rights) ও নারীশিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে তালিবানদের তরফে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছিল, আগের তালিবানের সঙ্গে তাদের বিস্তর ফারাক। শরিয়া আইন মেনে মহিলাদের শিক্ষা ও চাকরি করার সুযোগ দেওয়া হবে। সবসময় বুরখাও পড়তে হবে না, হিজাব পড়লেই চলবে।

মুখে উদারতার বার্তা দিলেও গত এক সপ্তাহ ধরেই বাস্তব চিত্র অন্য কিছু জানান দিচ্ছিল। বাড়ি থেকে একা বেরতে না দেওয়া, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাবালিকাদের বিয়ে বা যৌনদাসী হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে তালিবানিরা। বাজে রান্না হলে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা, নাবালিকাদের কফিনে ভরে ভিন দেশে পাচার করে দেওয়ার ঘটনারও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক অফিসে ফতেয়া জারি করা হয়েছে যে সরকার বদলে যাওয়ার কারণে মহিলাদের কাজে যোগ দেওয়ার আর প্রয়োজন নেই। ছাত্রীদের পরিচিতি রক্ষা করতে বালিকা বিদ্যালয়গুলির যাবতীয় নথিও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে গৃহবন্দিই হয়ে রয়েছেন আফগানিসি্তানের মহিলারা।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠনের প্রধান মিসেল ব্যাচেলেট জানিয়েছেন, তালিবানিরা মহিলা ও শিশুদের সঙ্গে কীধরনের ব্যবহার করছে, তার উপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ অতীতে নারীদের পণ্য হিসাবেই ব্যবহার করেছে তালিবান। তবে তালিবানের মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছিলেন, তারা কোনও প্রতিশোধ চান না। শরিয়া আইন মেনেই মহিলাদের কাজ করার অধিকার দেওয়া হবে। তবে ইসলাম যে কাজগুলিকে স্বীকৃতি দেয়, সেই ধরনের কাজই করতে পারবে মহিলারা। আরও পড়ুন: শোনা যাচ্ছে তালিবানের বুটের শব্দ, সীমানায় পাল্টা জবাব দিতে কতটা প্রস্তুত মাসুদের সেনা?