Taliban News: আফগানিস্তানে আবার যুদ্ধের পরিস্থিতি? পাক প্রধানমন্ত্রীকে ‘আইএসআইয়ের পুতুল’ বলে তোপ তালিবানের
Taliban: পাঁচমাস আগেই আফগানিস্তানের মসনদ তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে। তাসত্ত্বেও তালিব যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাশানাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স।
কাবুল: ফিরে চলে যেতে হবে পাঁচ মাস আগে। আফগানিস্তান দখলের জন্য আসরফ ঘানি সরকারের সঙ্গে যুদ্ধে মত্ত তালিব যোদ্ধারা। আতঙ্কে যুবুথুবু আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিক। সেই সময় তালিবানের এই আগ্রাসী মনোভাবকে সমর্থন করে বারবার পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। বিশ্লেষকদের মত ছিল, আফগানিস্তান তালিবানের দখলে গেলে ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে পারবে ইসলামাবাদ, তাই তালিবানকে সমর্থনের রাস্তায় হাঁটছেন ইমরান। এবার সমর্থনেরই প্রতিদান পেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তালিবান নেতারা ইমরান খানকে ‘আইএসআইয়ের হাতের পুতুল’ বলে তোপ দেগেছেন। তালিবান নেতাদের দাবি, “পাকিস্তানের সরকার জাতীয়তাবাদী আফগানদের ইসলামিক আমিরাতের বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটি তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।” দ্রুত পাকিস্তানের পতন হবে বলেই দাবি করেছেন তালিবান নেতৃত্ব।
পাঁচমাস আগেই আফগানিস্তানের মসনদ তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে। তাসত্ত্বেও তালিব যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাশানাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স। সম্প্রতি এনপিএফের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে সামনে এসেছে, সেখানে আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণ চুপ করে বসে না থেকে লড়াই করার আবেদন জানিয়েছে এনপিএফ। আরও একটি অডিয়ো বার্তায় এনপিএফের তরফে সংগঠনের নেতা আহমেদ মাসুদ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাদের লড়াই কোনও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। তাদের লড়াই আফগানিস্তানের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবিতে দেখা গিয়েছে, এনপিএফ যোদ্ধাদের কাছে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই মিসাইলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে, যার ফলে সহজেই তালিবানকে বিপাকে ফেলা যাবে। এনপিএফের তরফে এই ধরনের ছবি সামনে আসার পর আফগানিস্তানে আবার যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে কিনা সেই নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের মহিলা সমাজকর্মী তামানা পরইয়ানি অভিযোগ করেছিলেন, তালিবানরা কাবুলে তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতার করেছেন। সেই অভিযোগ খারিজ করে দেন তালিবান মুখপাত্র। মুখপাত্র সুহেল শাহিনের দাবি বিদেশে আশ্রয় পেতেই এই ধরনে অভিযোগ আনা হচ্ছে। আসলে এরকম কিছুই ঘটেনি। বৃহস্পতিবার এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, তালিবান গোয়েন্দা বিভাগে ১০ জন সশস্ত্র কর্মী বুধবার রাতে পরইয়ানির বাড়িতে প্রবেশ করে এবং দরজা ভেঙে তাঁকে ও তাঁর তিন বোনকে গ্রেফতার করে। রবিবার হিজাব বিরোধী আন্দোলনে যে ২৫ জন আফগানিস্তান মহিলা অংশগ্রহণ করেছিল পরইয়ানি তাদের অন্যতম।