Afghanistan news: শিল্পীর চোখে জল, বাদ্যযন্ত্র আগুনে পুড়িয়ে দিল তালিবান, দেখুন ভিডিয়ো
Afghanistan news: এরআগে দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই গাড়িতে গান চালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তালিবান। এছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানে গানের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান।
কাবুল: আফগানিস্তান এখন তালিবানের দখলে। গত বছর ১৫ অগস্ট কাবুলের মসনদে অধিষ্ঠিত হয়েছে তালিবান। তারপর থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে তালিবানি ফতোয়ায় ত্রস্ত আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণ। যস্মিন দেশে যদাচার, তালিবান শাসনে এই প্রবাদবাক্যের সত্যতা খুঁজে বের করতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। আফগানিস্তানের পাকটিয়া প্রদেশ এক নির্মম ঘটনার সাক্ষী রইল। সেখানে এক শিল্পীর সামনেই তাঁর বাদ্যযন্ত্র আগুনে পুড়িয়ে দিল তালিবান শাসকরা। টুইটারে ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন এক জনৈক আফগান সাংবাদিক। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে নিজের প্রাণাধিক প্রিয় বাদ্যযন্ত্রকে আগুনে পুড়তে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই শিল্পী।
Video : Taliban burn musician's musical instrument as local musicians weeps. This incident happened in #ZazaiArub District #Paktia Province #Afghanistan . pic.twitter.com/zzCp0POeKl
— Abdulhaq Omeri (@AbdulhaqOmeri) January 15, 2022
সাংবাদিক আব্দুল হক ওমেরির পোস্ট করা ভিডিয়োতে বন্দুক হাতে এক তালিবান সদস্যকে শিল্পীর দিকে তাকিয়ে উপহাসের ভঙ্গিতে হাসতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে আরেক তালিবান সদস্য ঘটনাটিকে ক্যামেরাবন্দী করে রেখেছেন। আব্দুল হক ওমেরি ভিডিয়ো দিয়ে টুইটারে লিখেছেন, “এক শিল্পীর বাদ্যযন্ত্র আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে তালিবান, ওই শিল্পী কাঁদছেন। আফগানিস্তানের পাকটিয়া প্রদেশে জ়াজ়াই আরুব জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।”
এরআগে দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই গাড়িতে গান চালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তালিবান। এছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানে গানের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান। অক্টোবরে আফগানিস্তানের এক হোটেল মালিক জানিয়েছিলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়ে ও ছেলেদের পৃথকভাবে উদযাপন করতে হবে, এমন নির্দেশই দেওয়া হয়েছিল তালিবানের তরফে। জামাকাপড়ের দোকানে ম্যানিকুইন রাখা যাবে না, আফগানিস্তানেহ হিরাত প্রদেশে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল তালিবান।
তালিবানের তরফ থেকে একের পর এক অদ্ভূত নির্দেশিকা আসায় আফগানিস্তান জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ১৯৯৫ থেকে ২০০১ অবধি তালিবান শাসনে ছিল আফগানিস্তান। সেই সময়ও দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা খর্ব করার অভিযোগ উঠেছিল তালিবানের বিরুদ্ধে। শরিয়া আইনের অন্ধভাবে অনুসরণ করা তালিবান রাজে সবথেকে বেশি আতঙ্কে ছিলেন মহিলারা। এবারও মহিলাদের আতঙ্কও সবথেকে বেশি। তালিবানি ফতোয়া সামনে আসায় পুরানো দিনের কথা মনে করছেন অনেকে। বর্তমানে আফগানিস্তান চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি, তারমধ্যেও তালিবানি ফতোয়া মানুষের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: Amazon Box theft: মাঝপথেই চুরি আমাজনের ‘অর্ডার’! রেল লাইনে পড়ে ভুরি ভুরি খালি বাক্স