Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Awami League: রিফাইন্ড আওয়ামি লীগ আসছে বাংলাদেশে? কেন রাতারাতি ঘুম উড়ে গিয়েছে হাসনাত-নাহিদদের

Bangladesh: আবদুল্লাহ দাবি করেন, "ভারতের নির্দেশে রিফাইন্ড আওয়ামি লীগের নামে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। যাদের ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে তাদের কাজ করার কথা, তাদের সেখানেই থাকা উচিত..."

Awami League: রিফাইন্ড আওয়ামি লীগ আসছে বাংলাদেশে? কেন রাতারাতি ঘুম উড়ে গিয়েছে হাসনাত-নাহিদদের
হাসনাত-নাহিদ।Image Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Updated on: Mar 24, 2025 | 2:44 PM

ঢাকা: বাংলাদেশে ফের চর্চায় আওয়ামি লীগ। তবে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য নয়, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং সেনার মধ্যেই বিরোধ বেঁধেছে। হাসনাত আবদুল্লা দাবি করেছেন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের পরিকল্পনা চলছে।

দু’দিন আগেই আবদুল্লাহ দাবি করেন, “ভারতের নির্দেশে রিফাইন্ড আওয়ামি লীগের নামে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। যাদের ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে তাদের কাজ করার কথা, তাদের সেখানেই থাকা উচিত… ‘বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশে’ ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে কোনও হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও আবদুল্লাহকে সমর্থন করে বলেছেন, “সেনাবাহিনী বা অন্য কোনও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের রাজনীতি সম্পর্কে প্রস্তাব দেওয়ার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও অধিকার নেই। বাংলাদেশে কোনও রাজনৈতিক দল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে কি পারবে না, এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনা বা প্রস্তাবনা দেওয়ার এক্তিয়ার সেনাবাহিনী বা অন্য কোনও সংস্থার নেই। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণ সেই সিদ্ধান্ত নেবে।”

অন্যদিকে, আওয়ামি লীগ পুনর্গঠন নিয়ে ছাত্রনেতাদের এই দাবির পাল্টা জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাও। সেখানে বলা হয়েছে, “হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ছাড়া অন্য কিছু নয়। এই বক্তব্য হাস্যকর এবং অপরিণত গল্পের সারি। ”

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান গত ১১ মার্চই তাঁর ঢাকার বাসভবনে হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। হাসনাত একটি ফেসবুক পোস্ট করে দাবি করেন, ক্যান্টনমেন্টে তাঁদের ডেকে নাকি ‘রিফাইন্ড-আওয়ামি লিগ’ ফেরানোর কথা বলা হয়েছিল। তারা সেই দাবি মানেননি।

অন্যদিকে, মহম্মদ ইউনূসও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ করবে না অন্তর্বর্তী সরকার।  নাহিদ ইসলাম এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর দাবি, আওয়ামি লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কাঠামোর বাইরে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া উচিত নয়।