Muhammad Yunus: ঠেলায় পড়ে গাছে উঠলেন ইউনূস! বাংলাদেশকে বাঁচাতে খুলতে চান সেভেন সিস্টার্স করিডর
Bangladesh: যে বাংলাদেশ কয়েক মাস আগেই সেভেন সিস্টার্স দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল, সেই বাংলাদেশেই ভারতের সেভেন সিস্টারের বাণিজ্যপথ খুলে দেওয়ার কথা বলছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।

ঢাকা: একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি! এতদিন মুখে ভারত বিদ্বেষের বুলি আওড়ালেও, এবার চাপে পড়তেই সুর নরম ইউনূস সরকারের। যে বাংলাদেশ কয়েক মাস আগেই সেভেন সিস্টার্স দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল, সেই বাংলাদেশেই ভারতের সেভেন সিস্টারের বাণিজ্যপথ খুলে দেওয়ার কথা বলছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের বাণিজ্যপথ খোলার সওয়াল করে এক অনুষ্ঠানে মহম্মদ ইউনূস বলেন, “ভারতের সেভেন সিস্টারের একই অবস্থা। একসঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করব আমরা। আমাদের সমুদ্র বন্দর তাদের (ভারতের) মাল আনা-নেওয়া করবে, তারাও আমাদের পণ্য আমদানি-রফতানি করবে। তারাও এই সুযোগ পেলে আনন্দিত হবে। তাদের ব্যবসা, আমাদের ব্যবসা সমৃদ্ধ হবে।”
হঠাৎ কী এমন হল বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের কথা বলতে হচ্ছে ইউনূসকে ? তাও আবার এমন এক পরিস্থিতিতে যখন আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা।ইউনূসের এমন বক্তব্য শুনে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণ মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশের আর্থিক দুরাবস্থা। দেশ চালাতে ভারতের কাছেই সাহায্য চাইছে ইউনূস সরকার।
বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে সরাসরি যোগাযোগের রাস্তা খুলে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। গত বছরের অগস্ট মাসে গণআন্দোলনের মুখে পড়ে যখন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন, তারপরই তীব্র ভারত বিরোধিতা তৈরি হয় বাংলাদেশে। বাণিজ্য থেকে সীমান্ত-সব কিছুতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় বন্ধ হয়ে যায় ভিসা। বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এসবের মধ্যেই ইউনূসের বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে বাণিজ্যের আহ্বানে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্তমানে পরিস্থিতি কেমন।
উত্তর -পূর্বের বাণিজ্যপথ খোলার পক্ষে সওয়াল নিয়ে হঠাৎ এই অবস্থান বদল প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তী বলেন, “আমেরিকা ভারতের উপরে দায়িত্ব দিয়েছে। ভারতের দায়িত্ব হচ্ছে আমেরিকার হয়ে সম্পর্ক নির্ধারণ করা। বাংলাদেশের বাণিজ্যপথ নিয়েই তো ঝামেলা করেছিল ওরা।”





