BREAKING NEWS: প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা, গণভবনের দখল নিল জনতা

Bangladesh Protest: উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই আজ, সোমবার বাংলাদেশ ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর এএফপি সূত্রে। তাঁর সঙ্গে বোন রেহানাও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারে করে অজ্ঞাত ঠিকানার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাসিনা।

BREAKING NEWS: প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা, গণভবনের দখল নিল জনতা
দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা।Image Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2024 | 3:16 PM

ঢাকা: দেশ ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই আজ, সোমবার বাংলাদেশ ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর এএফপি সূত্রে। তাঁর সঙ্গে বোন রেহানাও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাসিনা। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের দখল নিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনগণ। 

জানা গিয়েছে, সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পরই দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেনা প্রধানই তাঁকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেন। ঘোষণাপত্র দিয়ে দেশ ছাড়তে বলা হয় তাঁকে। দেশ ছাড়ার জন্য ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তিনটি দেশের নাম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। বিবিসি সূত্রে খবর, ভারতের উদ্দেশেই রওনা দিয়েছেন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা। ত্রিপুরার আগরতলায় আসতে পারেন তিনি। এরপর কোথায় যাবেন, তা জানা যায়নি।

বিক্ষোভ-প্রতিবাদের আগুনে ফুটছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফার দাবিতে কাতারে কাতারে মানুষ নেমেছেন পথে। গণ আন্দোলনর মুখে রাস্তা থেকে সরে গেল সেনাবাহিনীও। আন্দোলনকারীদের দখলে ঢাকার রাজপথ। এদিকে শোনা যাচ্ছে, গা ঢাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনার শাসন জারি করা হতে পারে

অসহযোগ আন্দোলনের আজ দ্বিতীয় দিন। সংরক্ষণ আন্দোলনে নিহতদের প্রতি সুবিচার চেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফার দাবিতেই বিক্ষোভে পথে নেমেছে পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ। রবিবারই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামি লিগ ও সেনার সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আজও নতুন করে সংঘর্ষ হয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়।

এদিকে, এ দিন সকালেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি তবে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা কোথায় রয়েছেন, তা জানা যাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, নিরাপদ কোনও গোপন ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা।

 

মন্ত্রিপরিষদ ও নীতি নির্ধারকদের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন বলে সূত্রের খবর। অশান্তির আঁচ বাড়তেই আওয়ামি লিগের নেতারাও গা ঢাকা দিয়েছেন।

ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহি নীর সঙ্গেও বৈঠক করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আপাতত সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে বলা হয়েছে।  কিছুক্ষণের জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন সেনা প্রধান। জল্পনা শোনা যাচ্ছে, সেনার শাসন জারি করা হতে পারে। আপাতত কার্ফু জারি রয়েছে দেশে। বন্ধ রয়েছে মোবাইল  ইন্টারনেট।

সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। আজ একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি জায়গায়। গত কয়েকদিন ধরেই গণমাধ্যমের উপরে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।