আগুন নিভতেই আওয়ামী লিগের অফিস থেকে কমোড খুলে নিয়ে গেল জনতা!
Bangladesh Unrest: সোমবারই গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লিগের কার্যালয়ে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ১০ তলা কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুঠপাট করা হয়। এরপরে সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১০ তলা কার্যালয়ের তৃতীয় তল পর্যন্ত পুড়ে যায়।
ঢাকা: সরকারের পতন। বাংলাদেশ জুড়ে চলছে চরম নৈরাজ্য। হিংসা, হানাহানি লেগেই রয়েছে। সোমবার, যেদিন বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা, সেদিনই গণভবনে ঢুকে লুঠপাট চালাতে দেখা গিয়েছিল আন্দোলনকারী জনতাকে। হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে ডিওরের ব্য়াগ, ফ্যান, এসি- কিছুই বাদ যায়নি। এবার আওয়ামী লিগের কার্যালয়েও লুঠপাট চলল। মেঝের টাইলস থেকে শুরু করে বাথরুমের কমোড সিট, মাথায় নিয়ে বের হতে দেখা গেল লোকজনকে।
বিক্ষোভের আগুনে জ্বলা বাংলাদেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই যেন ক্ষোভের আগুন আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে প্রাক্তন শাসক দল আওয়ামী লিগের উপরে। মঙ্গলবারই আওয়ামী লিগের ২০ জন নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে খবর। জায়গায় জায়গায় ভাঙচুর, লুটপাট চলছে। এই লুঠতরাজ থেকে রক্ষা পেল না আওয়ামী লিগের কার্যালয়ও।
সোমবারই গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লিগের কার্যালয়ে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ১০ তলা কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুঠপাট করা হয়। এরপরে সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১০ তলা কার্যালয়ের তৃতীয় তল পর্যন্ত পুড়ে যায়।
এতেও হিংসা থামেনি। মঙ্গলবার ফের হামলা চালানো হয় আওয়ামী লিগের ওই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। একবার পুড়ে যাওয়া কার্যালয়েই ফের আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন নিভতেই জনতা দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে যা কিছু অবশিষ্ট ছিল, তা লুঠপাট করতে শুরু করে। টেবিল চেয়ার থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক পণ্য, হাতের সামনে যা মেলে, সবই লুট করে নিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। এমনকী, শৌচাগারের কমোড সিটটাও ছাড়েনি কেউ কেউ!
কেন এই লুঠপাট? কেউ বলেছেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লিগ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। কারোর অভিযোগ, আওয়ামী লিগের অত্যাচারে তাঁরা থাকতে পারতেন না। কেউ কেউ আবার শুধু মজাচ্ছলেই, অন্যদের দেখে লুঠ করতে এসেছেন।
প্রসঙ্গত , গুলিস্তানে ৮ কাঠা জমির উপরে তৈরি আওয়ামী লিগের ১০ তলা বিল্ডিং। ২০১৮ সালেই এই ভবনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।