বাংলাদেশের ২ ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দিরে যাচ্ছেন নমো
সাড়ম্বরে মোদীকে বরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে। দু'দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রীর যশোরেশ্বরী মন্দির ও ওড়াকান্দি মন্দিরে যাওয়ার কথা।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ (Bangladesh) সফর ঘিরে ঢাকা জুড়ে সাজো সাজো রব। সে দেশের রাজধানীর পিলারে পিলারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। শহর ঢেকেছে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকায়। প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় নামতেই তাঁক ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। সাড়ম্বরে মোদীকে বরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে। দু’দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রীর যশোরেশ্বরী মন্দির ও ওড়াকান্দি মন্দিরে যাওয়ার কথা।
যশোরেশ্বরী মন্দির: যশোরেশ্বরী মন্দির বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে অবস্থিত একটি প্রাচীণ মন্দির। এটি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়। এই মন্দিরে শক্তি দেবীর প্রতি উৎসর্গীত। এখানে পূজিত হন ‘যশোরেশ্বরী’দেবী। যার অর্থ ‘জয়শোরের দেবী।’ এই মন্দিরটি ৫১ শক্তিপীঠের একটি। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।
এলাকাবাসীদের মতে, এই মন্দির তৈরি করেছিলেন আনারি নামে একজন ব্রাহ্মণ। তবে আসল তারিখ সম্পর্কে কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি। প্রতি বছর কালী পুজোর এই মন্দিরে মানুষের ঢল নামে। মন্দিরের উঠোনে আয়োজিত হয় মেলা। একাত্তরের পর এই মন্দির কাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, এখন স্রেফ স্তম্ভগুলি রয়েছে।
ওড়াকান্দি মন্দির: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়া সম্প্রদায়ের মন্দির ওড়াকান্দি পরিদর্শন করবেন। এই ওড়াকান্দিই হল মতুয়া ধর্মের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান। হরিচাঁদ ঠাকুরই মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা। মন্দির পরিদর্শনের পর সেখানকার মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলবেন মোদী। মতুয়া সম্প্রদায়ের অনেকে এই হরিচাঁদ ঠাকুরকে বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করেন। তাই মোদীর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মভিটেতে যাওয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বঙ্গে প্রথম দফার ভোটের দিনই ওড়াকান্দি যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুজিবের শতবর্ষে ওপার বাংলায় মোদী, ফুলের তোড়ায় অভ্যর্থনা হাসিনার