Murad Hassan Scandal: আরও বিপাকে মুরাদ হাসান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের
Murad Hasan: আদালত সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত দু'জনের বিরুদ্ধে ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মুরাদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে জাইমা রহমান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে সম্মানহানির চেষ্টা করেছেন।
ঢাকা: ক্রমেই বিপদ বাড়ছে বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী মুরাদ হাসানের। আজ রবিবার, মুরাদ হাসান ও মহম্মদ মহিউদ্দিনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। ঢাকা সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে আইনজীবী সংগঠন ঢাকা বার ইউনিটের তরফে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকি মামলাটি করেছেন বলেই জানা গিয়েছে।
দায়ের হওয়া মামলাতে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, জিয়া পরিবার ও আইনজীবী জাইমা রহমানে বিরুদ্ধে ফেসবুকে লাইভ করে অত্যন্ত কুরুচিকর, অসম্মানজনক ও নারী বিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন, এই ধরনের মন্তব্য যেকোনও নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার জন্য যথেষ্ট। মামলাতে উল্লেখ করা হয়েছে সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী মুরাদের সহযোগী মহিউদ্দিনও উদ্দেশ্য নিয়ে এই অপমানসূচক মন্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করেছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই মামলা গ্রহন করেছে আদালত।
আদালত সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মুরাদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে জাইমা রহমান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে সম্মানহানির চেষ্টা করেছেন।
উল্লেখ্য, মুরাদ হাসানকে নিয়ে উত্তপ্ত বাংলাদেশের রাজনীতি। শাসকদল আওয়ামি লিগের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরাদ দু’বছর আগে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে ফোনে অশ্লীল মন্তব্য করেন। মাহি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না চাওয়ায় তাঁকে ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি । সেই সময় মাহিয়া মাহির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন। তাঁর ফোনেই ফোন করেছিলেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি সেই ফোনালাপে অডিয়ো ফাঁস হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হতে থাকা সেই অডিয়ো শুনে বাংলাদেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন মুরাদ হাসান। যদিও তিনি বলেছিলেন ব্যক্তিগত কারণে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন হয় যে দেশ ছেড়ে তিনি কানাডাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকায় তাঁকে কানাডাতে প্রবেশের ও অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে তাঁকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিমানে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছিল।