Bangladesh: ফের খবরে বাংলাদেশ! আওয়ামী লীগের কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা
Bangladesh: আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি উঠেছিল। যার জেরে প্রতিবাদ-সমাবেশ করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। সেই সময়ই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার জানিয়েছিল এই বিষয়টি পরে বিবৃতি দিয়ে জানানো হবে। এই আবহের মধ্য়ে জানা গেল,আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি উঠেছিল। যার জেরে প্রতিবাদ-সমাবেশ করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। সেই সময়ই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার জানিয়েছিল এই বিষয়টি পরে বিবৃতি দিয়ে জানানো হবে। এই আবহের মধ্যে জানা গেল,আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ হওয়া না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উইপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।
জানা গিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় রাত আটটা নাগাদ শুরু হয় বৈঠক। চলে রাত পৌনে ১১ টা অবধি। প্রথমেই বিষয়টির ব্রিফিং করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে উপদেষ্টা পরিষদের লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান।
ওই সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের সংশোধনীও অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুসারে ট্রাইব্যুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকেও এবার থেকে শাস্তি দিতে পারবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ এবং তার নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে, জুলাই আন্দোলনের নেতা কর্মীদের নিরাপত্তা প্রদান করতে সর্বোপরি ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এর পাশাপাশি, জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত হয়েছে
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ৩ দিন ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ছাত্র জনতা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। এর পরেই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়।





