AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh Blast: কেরানিগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ শুধুই ট্রেলার? ইউনূস আমলেই বড় কোনও ছক কষছে জেএমবি?

Militant organization JMB: মাদ্রাসার পরিচালক আল-আমিন শেখ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য। রাজীব তামিম–সারোয়ার গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। যদিও ঘটনার পর থেকে আল আমিন পলাতক। তবে তার পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Bangladesh Blast: কেরানিগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ শুধুই ট্রেলার? ইউনূস আমলেই বড় কোনও ছক কষছে জেএমবি?
প্রশাসনিক মহলে বাড়ছে উদ্বেগ Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2025 | 11:01 AM
Share

ঢাকা: জেএমবি কি পুনরায় নিজেদের শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে চলেছে? কেরানিগঞ্জে মাদ্রাসায় জেএমবির সম্পূর্ণ হাত রয়েছে বলে পরিষ্কার করে দিল ঢাকা পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনের অধিক গুরুতর জখম হয়েছেন। আর এই ঘটনায় হাত রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র সদস্য আল-আমিন শেখ ওরফে রাজীবের। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তদন্তের পর এমনই জানিয়ে দিলেন। 

মাদ্রাসার আড়ালে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই জেএমবি যে নিজেদের শাখা-প্রশাখাগুলিকে আবারও বিস্তার করছে। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে নাশকতামূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে চলেছে, ইঙ্গিত দিচ্ছে মাদ্রাসার এই বিস্ফোরণ। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। 

মাদ্রাসার পরিচালক আল-আমিন শেখ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য। রাজীব তামিম–সারোয়ার গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। যদিও ঘটনার পর থেকে আল আমিন পলাতক। তবে তার পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২৫০ কেজি বোমা তৈরির উপকরণ, ক্রুড বোমা, ককটেল এবং রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করে।

পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, এই বিস্ফোরক তৈরি করা হয়েছিল বড়সড় নাশকতা করার জন্যই। তবে নিষিদ্ধ এই জেএমবি সংগঠন যে আরও বড় কোনও পরিকল্পনা রয়েছে, সেটা তদন্তে পরিষ্কার হয়েছে পুলিশের কাছে। 

আওয়ামি লীগ জমানায় একাধিক বিস্ফোরণ এবং ব্লগার হত্যাকাণ্ডে জেএমবির সক্রিয় সদস্যরা যোগ সামনে এসেছে। এদিকে এরইমধ্যে হাসিনা পরবর্তী সময়ে ইউনুস জমানেতেও রাজনৈতিক উত্তাপে ফুটছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে এই সংগঠন যে ফের সক্রিয় হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। এখন তাদের দমনে পুলিশের তরফে কতটা সক্রিয়তা দেখা যায় সেটাই দেখার। উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের মধ্যেও।