Israel-Hamas War: অবশেষে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি! মুক্তি পাবেন ৫০ বন্দি, হামাসের সঙ্গে চুক্তি ইজরায়েলের
Ceasefire: ইজরায়েল সরকারের তরফে মঙ্গলবারই জানানো হয়েছিল, এই চুক্তির মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০ ইজরায়েলি নাগরিককে হামাসের হাত থেকে মুক্ত করা যাবে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও মহিলা রয়েছেন। প্রতিদিন ১২-১৩ জন করে পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে হামাস, এমনটাই সূত্রের খবর।
গাজা সিটি: অবশেষে যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) গাজায়। ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের (Israel-Hamas War) দেড় মাস কেটে যাওয়ার পর অবশেষে আশার আলোর দেখা মিলল। বুধবার ইজরায়েল ক্যাবিনেটের তরফে হামাসের দেওয়া চুক্তি মঞ্জুর করা হয়। হামাসের হাতে বন্দি (Hostages) আনুমানিক ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। হামাস নিজেই পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার এই প্রস্তাব দিয়েছিল। সপ্তাহজুড়ে টানাপোড়েনের পর অবশেষে হামাসের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইজরায়েল। তবে পণবন্দিদের মুক্তির জন্য বিশেষ শর্ত মানতে হবে ইজরায়েলকে। আর তা হল যুদ্ধবিরতি। ৪ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। মানবতার স্বার্থেই এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েল।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ইজরায়েলের ক্যাবিনেটে ভোটাভুটির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ৫০ জন বন্দিকে হামাসের হাত থেকে মুক্ত করার প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়। একাধিক দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ৫০ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর প্রথম হামলার পরই এই নাগরিকদের পণবন্দি বানিয়েছিল হামাস। গাজায় হামাসের গোপন ডেরায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে এদের।
প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি ইজরায়েল-হামাসের এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তবে ইজরায়েল সরকারের তরফে মঙ্গলবারই জানানো হয়েছিল, এই চুক্তির মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০ ইজরায়েলি নাগরিককে হামাসের হাত থেকে মুক্ত করা যাবে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও মহিলা রয়েছেন। প্রতিদিন ১২-১৩ জন করে পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে হামাস, এমনটাই সূত্রের খবর।
অপর একটি সূত্রে খবর, ইজরায়েল ৪ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে। ৫০ জন ইজরায়েলি নাগরিককে মুক্তির বিনিময়ে ১৫০ জন প্যালেস্তানীয়, যারা ইজরায়েলের জেলে বন্দি রয়েছেন, তাদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।
ইজরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইজরায়েলি সরকার, ইজরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী অপহৃত সকলকে ফিরিয়ে আনতে, হামাসকে নির্মূল করতে এবং গাজা থেকে ইজরায়েলের উপরে যাতে কোনও ঝুঁকি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধ জারি রাখবে।”
অন্যদিকে, হামাসের তরফেও ইজরায়েলের এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর, হামাসের হামলার প্রথম দিনেই ইজরায়েল থেকে কমপক্ষে ২৫০ জনকে অপহরণ করে পণবন্দি বানায় হামাস। এরমধ্যে ইজরায়েলি ছাড়া বেশ কিছু বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। কিছুজনকে যেমন ইতিমধ্যেই মুক্তি দিয়েছে হামাস, আবার কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে হত্যাও করেছে বলে অভিযোগ।