Bill Gates: কোভিড-১৯ অতিমারির পিছনে বিল গেটসের হাত? নীরবতা ভেঙে যা বললেন মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা

Bill Gates: ২০১৫ সালে বিল গেটস টেডএক্স সম্মেলন থেকে একটি সংক্রামক ভাইরাস সম্পর্কে একটি সতর্কতা জারি করেছিলেন যা এক কোটিরও বেশি মানুষকে মারতে পারে। তারপর করোনা অতিমারির সময় বিভিন্ন তত্ত্ব প্রকাশ্যে এসেছিল যেখানে উল্লেখ করা হয়, এই অতিমারির পিছনে হাত রয়েছে মাইক্রো সফটের প্রতিষ্ঠাতার।

Bill Gates: কোভিড-১৯ অতিমারির পিছনে বিল গেটসের হাত? নীরবতা ভেঙে যা বললেন মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা
ছবি সৌজন্যে: AP
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2023 | 7:11 PM

২০২০ সালে আচমকাই বিশ্ব জুড়েই নেমে এসেছিল করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) কালো ছায়া। করোনা ভাইরাসের প্রকৃতি সম্বন্ধে ডাক্তার, বিশেষজ্ঞরা যখন কোনও কূল কিনারা করতে পারছিলেন না সেই সময়ই এই ভাইরাসের উদ্ভাবন তৈরি হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন তত্ত্ব তৈরি হয়েছিল। চিনের উহানে ল্যাব থেকেই এই মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি বলেও শোনা যাচ্ছিল। এরকমই একটি তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল, করোনাভাইরাসের পিছনে মাস্টার মাইন্ড হলেন মাইক্রোসফটের (Microsoft) সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates)। তবে এই বিষয়ে এতদিন কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি গেটসকে। তাঁর সম্বন্ধে এই তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসার ২ বছর পর নীরবতা ভাঙলেন মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা।

বিল গেটস জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারির সময় তাঁর সম্বন্ধে যেসব তত্ত্ব বেরিয়েছিল তা জানতে পেরে নিজেই অবাক হয়েছিলেন। তিনি বলেন, “তিনি এমন একজনকে খুঁজছেন যাকে পৃথিবীতে ঘটা সমস্ত খারাপ কিছুর জন্য দোষী সাব্যস্ত করা যেতে পারে।” গত বৃহস্পতিবার বিবিসিতে একটি ইন্টারভিউতে বলেছেন, “মহামারি চলাকালীন এরকম কয়েক কোটি মেসেজ এসেছিল, আমি ইচ্ছাকৃতভাবে এটা ঘটিয়েছিলাম বা আমি লোকদের ট্র্যাক করছিলাম। এটা সত্যি যে আমি টিকাকরণে সঙ্গে জড়িত ছিলাম। কিন্তু আমি জীবন বাঁচানোর জন্য টিকার সঙ্গে জড়িত।” তিনি আরও বলেছেন, “আমার মনে হয় পর্দার পিছনে সকলেই সেই ব্যক্তির খোঁজ করছেন যাকে এর জন্য দোষ দেওয়া যায়। জীবন বিজ্ঞান বোঝার থেকে অসহিষ্ণুতা তো অনেক সহজ।”

গেটস কৌতুক করে বলেন, তিনি অ্যান্থনি ফাউসির চেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফাউসির প্রাক্তন প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি আরও বলেন, তিনি কোভিড -১৯ এর টিকাকরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবে তাঁর কোনও হাত ছিল না। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে গেটস একটি সংক্রামক ভাইরাস সম্পর্কে একটি সতর্কতা জারি করেছিলেন যা এক কোটিরও বেশি মানুষকে মারতে পারে। টেডএক্স সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “আগামী কয়েক দশকে যদি কোনও কিছু এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয় তাহলে তা যুদ্ধের চেয়ে অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস হতে পারে।” আর যখন গেটসের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে করোনা সংক্রমণ হয় তখন নিশানা করা হয় বিল গেটসকেই। এইসব তত্ত্বের প্রবক্তরা অভিযোগ করেছিলেন, গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা কমানোর জন্য এটা পরিকল্পনা ছিল গেটসের। আর জনগণকে স্টেরিলাইজ করার পদ্ধতিই হল টিকাকরণ। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে। এবার দীর্ঘ দু’ বছর পর এই তত্ত্ব নিয়ে মুখ খুললেন বিল গেটস।