Russia-Ukraine Conflict: পরপর বোমা বর্ষণে কিয়েভের টিভি সেন্টার ওড়াল রুশ সেনা,খারকিভেও বিস্ফোরণে মৃত কমপক্ষে ৮
Russia-Ukraine Conflict: মঙ্গলবার আমেরিকার প্রতিরক্ষাবাহিনীর এক প্রতিনিধি জানান, রাশিয়ার মিলিটারি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢোকার জন্য লাগাতার হামলা চালালেও, তাদের কড়া জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনা।
কিয়েভ: রাশিয়ার লাগাতার হামলায় ধ্বংসের মুখে ইউক্রেন (Ukraine)। কিয়েভ, খারকিভ, লিলিভ সহ একাধিক শহরে লাগাতার বোমাবর্ষণ করছে রুশ সেনা (Russian Army)। মঙ্গলবারই খারকিভে (Kharkiv) এক ভারতীয় পড়ুয়ার বোমাবর্ষণে মৃত্যুর খবর মিলেছে। রাশিয়াকে আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ন্যাটো। আমেরিকার তরফে রাশিয়ার সমস্ত বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই আজ, বুধবার ফের একবার মুখোমুখি বৈঠকে বসছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এদিন সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ(Kyiv)-র একটি টিভি সেন্টারে ক্ষেপনাস্ত্র বর্ষণের খবর মিলেছে। গতকাল খারকিভেও একটি হাউসিং সোস্যাইটিতে রুশ সেনা বোমাবর্ষণ করে। বিস্ফোরণে আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
টিভি সেন্টারে হামলা:
ইউক্রেন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে খারকিভে লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে রাশিয়া। একটি আবাসনে বোমা আছড়ে পড়ায় কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অন্যদিকে কিয়েভের প্রধান টেলিভিশন টাওয়ারেও পরপর দুটি ক্ষেপনাস্ত্র বর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী। কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু ও আরও ৫ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। টিভি সেন্টারে বিস্ফোরণোর কারণে টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
জ়েলেনস্কির আবেদন:
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি রাশিয়ার হামলাকর প্রসঙ্গ টেনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সদস্যপদের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। রাশিয়ার আগ্রাসী শক্তিকে রুখতে দুই দেশের মধ্যে অনুদান ও সামরিক সাহায্যের কথা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ব্রিটেন সরকারের তরফেও রাশিয়াকে যুদ্ধপরাধ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবারই খারকিভে ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহার করেছে রাশিয়া, যা জেনেভা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
বিপাকে পড়েছে রুশ সেনাও:
মঙ্গলবার আমেরিকার প্রতিরক্ষাবাহিনীর এক প্রতিনিধি জানান, রাশিয়ার মিলিটারি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢোকার জন্য লাগাতার হামলা চালালেও, তাদের কড়া জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনা। সীমানার বাইরেই রুশ সেনাকে আটকে দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। রুশ সেনার জ্বালানি ও খাবারও শেষ হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। রাশিয়ার উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টির জন্য একাধিক দেশ থেকে বাণিজ্যিক লেনদেন ও অনুদানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ক্রীড়াঙ্গনেও একঘরে করে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়াকে। একদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যেমন বয়কট করেছে আন্তর্জাতিক জুডো আস্যোসিয়েশন, তেমনি আবার রাশিয়ার আইস স্কেটারদেরও সমস্ত প্রতিযোগিতা থেকে ব্যান করা হয়েছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তরফেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি সংঘর্ষে ১৪জন শিশু সহ ৩৫০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয়ের মৃত্যু হয়েছে। আগামী শুক্রবার ব্রাসেলসে বৈঠকে বসবে ন্য়াটোর সদস্য দেশগুলির মন্ত্রীরা। ওই বৈঠকেও রাশিয়ার ইউক্রেনের উপর হামলা চালানো নিয়েই আলোচনা করা হবে।