Bangladesh: হিন্দু যুবককে জ্যান্ত জ্বালানোর ঘটনায় ইউনূসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাল BNP

BNP on Bangladesh Unrest: ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, "সরকারের নাকের ডগাতেই এইসব ঘটনা ঘটছে। জনগণ মনে করছে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। এর ফলে দেশ-বিদেশে সরকারের পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।"

Bangladesh: হিন্দু যুবককে জ্যান্ত জ্বালানোর ঘটনায় ইউনূসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাল BNP
বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে কী বললেন মির্জা ফখরুল?Image Credit source: PTI

|

Dec 20, 2025 | 3:01 PM

ঢাকা: ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ বিএনপি(BNP)-র। তবে হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)। বিস্ফোরক দাবি তাঁর। বললেন, “একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের পথে ঠেলে দিতে চায়। গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর মিলতেই বাংলাদেশ জুড়ে যেভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তাতে একাংশ মহল ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে যে এটা পরিকল্পিত কোনও ষড়যন্ত্র নয় তো? আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচন বানচাল করে দিতেই এই হিংসা ছড়ানো হচ্ছে তো? এবার কার্যত সেই কথাই শোনা গেল বিএনপি মহাসচিবের মুখেও।

শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ও তারপরে সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখান থেকে মির্জা ফখরুল বলেন, “ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”

হাদির মৃত্যুর পরই যেভাবে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের মতো সংবাদমাধ্যমের অফিসে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, তারও তীব্র নিন্দা করেন মির্জা ফখরুল। বলেন যে এই ঘটনায় কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছিল। এছাড়া নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর, হেনস্থা, ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট, উদীচীতে হামলার নিন্দা করেন তিনি।  ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তুলে আনেন তিনি।

তবে এর মধ্যে বাংলাদেশে সবথেকে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, হিন্দু যুবককে জ্যন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “বচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হল ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা এবং আগুন দেওয়া।”

এই ঘটনাগুলিকে ‘ঘৃণ্য’ ও ‘ন্যক্কারজনক’ বলেন তিনি। বিএনপির মহাসচিব বলেন, “এইসব ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।”

ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, “সরকারের নাকের ডগাতেই এইসব ঘটনা ঘটছে। জনগণ মনে করছে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। এর ফলে দেশ-বিদেশে সরকারের পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। এরপরও এই ধরনের হিংসা হামলা জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার গভীর ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করছি।

তিনি আরও বলেন, “শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে আমরা এই ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই- এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যায় না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।