Bangladesh: হাদির মৃত্যুর শোক নাকি মৌলবাদের আস্ফালন? এবার তছনছ উদীচীও, আগুন ধরাল ‘ওরাই’
Bangladesh Violence: উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, "রাত পৌনে আটটার দিকে কার্যালয়ে প্রথম ভাঙচুর করা হয়। এরপর সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটে আগুন দেওয়ার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই উদীচী কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে।"

ঢাকা: ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ? নাকি বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে চলা তাণ্ডবলীলার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও শক্তি? একের পর এক সংস্কৃতি কেন্দ্রে হামলা, যে বাংলাদেশ একসময় শিল্প ও সংস্কৃতিমনাদের জন্য পরিচিত ছিল, তার আকাশ আজ ঢেকেছে মৌলবাদে। কট্টরপন্থীদের হাতে পড়ে আর কী কী দেখাবে ‘নতুন’ বাংলাদেশ?
ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ভেঙে তছনছ করা হল ছায়ানট। ভাঙা হল হারমোনিয়াম, তবলা। ছিঁড়ে ফেলা হল বই। এবার নিশানা উদীচী। ছায়নটের পর বাংলাদেশে এবার হামলা হল সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কট্টরপন্থীদের হাতই রয়েছে এই হামলা পিছনে, দাবি উদীচীর আধিকারিকদের। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, পরিকল্পিতভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে।
⚡🇧🇩 In #Bangladesh, Radical #Islamist groups have once again set fire to Udichi. They are trying to stop all music and cultural performances in the country.
Reports suggest that these incidents are happening with indirect support from Yunus. pic.twitter.com/orEubF9SCN
— Bangladeshi Hindus Community🚨🇧🇩 (@Hindubd49346) December 19, 2025
শুক্রবার রাত আটটার দিকে ঢাকার তোপখানা সড়কে উদীচী কার্যালয়ে আগুন লাগার খবর আসে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
বাংলাদেশেক সংবাদপত্র প্রথম আলোকে উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, “রাত পৌনে আটটার দিকে কার্যালয়ে প্রথম ভাঙচুর করা হয়। এরপর সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটে আগুন দেওয়ার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই উদীচী কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে।” এদিকে, উদীচীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, তাসনিম জারা সহ এনসিপি নেতৃত্ব। স্লোগান ওঠে, “ইউনূস সরকার দরকার নেই’।
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে ঢাকার রাজপথে হামলা হয় জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ তথা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির উপরে। মাথা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। মাথা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয় গুলি। ১৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। এরপরই বাংলাদেশে আগুন জ্বলতে শুরু করে। জায়গায় জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে অফিসেও হামলা হয়। একই সময়ে হামলা চালানো হয় মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডিতে এবং ছায়ানট সংস্কৃতি কেন্দ্রেও।
