লন্ডন: সংসদে অধিবেশন চলছে, তারই মাঝে মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ব্রিটিশ সাংসদ নিল পারিস(Neil Parish)। চাপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি (Conservative Party) থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল আগেই। শনিবার তিনি সংসদ থেকেও ইস্তফা (Resign) দিলেন। একইসঙ্গে স্বীকার করে নিলেন যে এই প্রথম নয়, এর আগেও সংসদে বসে তিনি পর্ন দেখেছেন। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সিলেক্ট কমিটির বৈঠকে মহিলাদের হেনস্থা নিয়ে আলোচনা চলাকালীন এক মহিলা মন্ত্রী দেখতে পান, সামনে বসা সাংসদ মোবাইলে পর্ন ভিডিয়ো দেখছেন। এরপরই তিনি সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অধিবেশন চলাকালীন পর্ন দেখার অভিযোগ উঠতেই নিলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠার পর ওই সাংসদ প্রথমে পদ ছাড়তে অস্বীকার করলেও, পরে শনিবার তিনি নিজেই ইস্তফা দেন। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “শেষ অবধি আমি বুঝতে পারছি যে আমার পরিবার ও সংসদের কতটা ক্ষতি করছি। আমার মনে হয়েছে এই পদে থেকে আর কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়।”
পারিস জানিয়েছেন, তিনি একবার নয়, দু’বার ওই যৌন উত্তেজক ভিডিয়ো দেখেছিলেন। প্রথমবার ইন্টারনেটে ট্রাক্টরের নাম সার্চ করতে গিয়ে ভুল ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়েন। পরে তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, কিছুক্ষণ মজার জন্য ওই ভিডিয়ো দেখেন। এই কাজ যে অনুচিত, তাও বুঝতে পেরেছেন তিনি।
আত্মসমালোচনা করে ওই সাংসদ বলেন, “আমি যা করেছি, তার জন্য মোটেও গর্বিত নই। নিজের ভুলের জন্য কোনও সাফাই দেব না। আমি যা করেছি, তা অত্য়ন্ত ভুল। হয়তো আমার মতিভ্রম হয়েছিল। আশেপাশের কেউ ওই ভিডিয়ো দেখতে পাক, তাও চাইনি আমি।”
আরও পড়ুন: Elon Musk-Twitter: সংকটে টুইটার কর্মীদের চাকরি? ভয় ধরাচ্ছে এলন মাস্কের পরবর্তী পরিকল্পনা