AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sheikh Hasina’s Aynaghar: হাসিনার আয়নাঘরে ইউনূস, কী পেলেন ভিতরে যা দেখেই শিউরে উঠলেন?

Muhammad Yunus: আয়নাঘরের কালকুঠুরিগুলিকে মুরগির খাঁচার থেকেও ছোট বলে উল্লেখ করেন ইউনূস। বলেন, "একজন বলছিলেন খুপরির মধ্যে রাখা হয়েছে। এর থেকে তো মুরগির খাঁচাও বড় হয়। বছরের পর বছর এভাবে রাখা হয়েছে।"

Sheikh Hasina's Aynaghar: হাসিনার আয়নাঘরে ইউনূস, কী পেলেন ভিতরে যা দেখেই শিউরে উঠলেন?
আয়নাঘরে মহম্মদ ইউনূস।Image Credit: Facebook
| Updated on: Feb 13, 2025 | 7:26 AM
Share

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালের অন্যতম কালো একটা অধ্যায় হল আয়নাঘর। হাসিনা নাকি তাঁর না-পসন্দ ব্যক্তিদের আয়নাঘর নামক এক কালকুঠুরিতে বন্দি করে রাখতেন। চলত নির্মম অত্যাচার। বাংলাদেশে পালাবদলের পরই আয়নাঘরের রহস্য সবার সামনে আনবেন বলে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বুধবার তিনি সত্যিই গেলেন আয়নাঘরে। সেখানে গিয়ে কী দেখলেন তিনি?

বুধবার একাধিক উপদেষ্টা, আয়নাঘরে বন্দি থাকা ব্যক্তি ও সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে ঢাকার তিনটি বন্দিশালায় যান মহম্মদ ইউনূস, যা এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল। আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরায় অবস্থিত আয়নাঘরে  গিয়ে তিনি ছোট্ট কুঠুরিগুলি ঘুরে দেখেন, যেখানে হাসিনা বিরোধীদের বন্দি করে রাখা হত। কীভাবে বন্দিদের উপরে অত্যাচার করা হত, তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা শোনেন ইউনূস।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আয়নাঘরের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়োও সামনে এসেছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, জেলের মতো ছোট ছোট কুঠুরি, যেখানে একটা জানালাও নেই। ঘরের মাঝখানে শুধু রাখা একটি চেয়ার, যেখানে বসিয়ে বন্দিদের উপরে নির্যাতন করা হত। বন্দিরা দেওয়ালে তাদের কষ্টের কথা, অপেক্ষার দিন গোনার কথা লিখে গিয়েছিলেন, তার প্রমাণও আছে।

আয়নাঘর পরিদর্শনের পর ইউনূস বেরিয়ে এসে বলেন, “আইয়ামে জাহেলিয়া বলে একটা কথা আছে, গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছে। এটা তার প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, “নৃশংস কর্মকাণ্ড হয়েছে এখানে। যতই শুনি, তত অবিশ্বাস্য লাগে। এটা কি আমাদেরই জগৎ, আমাদের সমাজ? যাঁরা নিগৃহীত হয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সমাজেই আছেন। তাঁদের মুখ থেকে শুনলাম। কী হয়েছে, কোনো ব্যাখ্যা নেই।”

হাসিনার অত্যাচারের নমুনা তুলে ধরে ইউনূস বলেন, “বিনা দোষে, বিনা কারণে তুলে আনা হত। সন্ত্রাসী, জঙ্গি বলে এখানে ঢুকিয়ে রাখা হত। এই রকম টর্চার সেল দেশজুড়ে আছে। মোট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।”

আয়নাঘরের কালকুঠুরিগুলিকে মুরগির খাঁচার থেকেও ছোট বলে উল্লেখ করেন ইউনূস। বলেন, “একজন বলছিলেন খুপরির মধ্যে রাখা হয়েছে। এর থেকে তো মুরগির খাঁচাও বড় হয়। বছরের পর বছর এভাবে রাখা হয়েছে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদও জুলাই মাসে হাসিনার আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন কিছুদিনের জন্য। তাঁরাও গতকাল আয়নাঘরে গিয়ে ওই কালকুঠুরি চিনতে পারেন, যেখানে তাদের বন্দি রাখা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের অগস্ট মাসে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত ও দেশ ছাড়তে বাধ্য করার পরই অন্তবর্তী সরকার আয়নাঘর নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিশন রিপোর্টে র‍্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে কমিশনে ১ হাজার ৬৭৬ অভিযোগ জানায়। এখনও ২০৪ জন নিখোজ রয়েছেন বলে দাবি করা হয় ওই রিপোর্টে।