Child death: পাকিস্তানে ২০ দিনে ২০০-র বেশি শিশুর মৃত্যু, কেন জানেন?
Pakistan: সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অপুষ্টির কারণেই অধিকাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিউমোনিয়ায় অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নেয়নি। শরীর দুর্বল হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নেই। ফলে কনকনে ঠান্ডায় বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সকালের স্কুল খোলা রাখা উচিত নয় বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
লাহোর: পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। নির্বাচনের প্রস্তুতিও জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এর মধ্যে শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। গত ২০ দিনে কেবল পঞ্জাব প্রদেশে ২০০-র বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েই পরপর শিশু-মৃত্যু ঘটছে। যা পঞ্জাবের কেয়ারটেকার সরকারের কাছে উদ্বেগজনক।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানে কনকনে ঠান্ডা চলছে। এই আবহাওয়ার জন্যই পরপর শিশু-মৃত্যু ঘটছে বলে দাবি প্রশাসনের। গত ২০ দিনে ২০০-র বেশি শিশু-মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন পঞ্জাব প্রদেশের সরকার। তবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অপুষ্টির কারণেই অধিকাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিউমোনিয়ায় অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নেয়নি। শরীর দুর্বল হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নেই। ফলে কনকনে ঠান্ডায় বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সকালের স্কুল খোলা রাখা উচিত নয় বলেও জানিয়েছে পঞ্জাব সরকার।
পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি মাসের গোড়া থেকেই শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়েছে। কেবল পঞ্জাবে ১ জানুয়ারি থেকে সাড়ে ১০ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ২২০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেবল পঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী, লাহোরে ৪৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কনকনে ঠান্ডায় পাকিস্তানে গত বছরও শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল পাক-পঞ্জাবে। গত বছরও শীতের সময়ে পঞ্জাব প্রদেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯৯০ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সংক্রমণ ঠেকাতে শিশুদের বারবার হাত ধোওয়ানো, মুখে মাস্ক পরানো এবং গরম পোশাক পরিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছিল পঞ্জাব প্রদেশের কেয়ারটেকার সরকার। তবে এই শিশুমৃত্যুর ঘটনা পঞ্জাব তথা গোটা পাকিস্তানের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। তাই এবার জনগণের স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর জোর দিচ্ছে পাক সরকার।