Pakistan: ‘পাকিস্তানের আর কোনও সম্মান রইল না’, ছিঃ ছিঃ করছেন পাকিস্তানিরাই
Pakistan: করাচির বাসিন্দা এক মহিলার বক্তব্য, 'এসব করে নিজেদের দেশেরই বেইজ্জতি করা হচ্ছে। কেউ আজকাল আর পাকিস্তানকে সম্মানের চোখে দেখে না। বাইরের দেশের লোকে বলে, পাকিস্তানে চলে যাও, সেখানে যা ইচ্ছে করতে পারবে। এই বদনাম আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি।'
করাচি: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকের বিরুদ্ধে জোড়া সাজার নির্দেশ দিয়েছে সেখানকার আদালত। দু’টি পৃথক মামলায়। প্রথমে পাকিস্তানের গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে ১০ বছরের জেল। আর পরের দিনই দুর্নীতির মামলায় সস্ত্রীক ১৪ বছরের জেল। ভোটের ঠিক মুখে এভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জোড়া সাজার নিদানে বেজায় অসন্তোষ জন্মেছে পাকিস্তানের আমজনতার মধ্যেই।
কেউ মনে করছেন তাড়াহুড়ো করে সাজা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে এটা না করলেই ভাল হত বলে মনে করছেন করাচির একটি বড় অংশের সাধারণ নাগরিক। তাঁদের বক্তব্য, মানুষ কাকে চাইছে, কাকে চাইছে না, সেটা নির্বাচনের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ বুঝিয়ে দিতে পারত। উল্লেখ্য, সামনের সপ্তাহেই পাকিস্তানে ভোট রয়েছে। আবার কেউ বলছেন, এসব করে আসলে পাকিস্তানেরই বদনাম হচ্ছে বিশ্বের কাছে।
করাচির বাসিন্দা এক মহিলার বক্তব্য, ‘এসব করে নিজেদের দেশেরই বেইজ্জতি করা হচ্ছে। কেউ আজকাল আর পাকিস্তানকে সম্মানের চোখে দেখে না। বাইরের দেশের লোকে বলে, পাকিস্তানে চলে যাও, সেখানে যা ইচ্ছে করতে পারবে। এই বদনাম আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি। ভোটের পর যেই ক্ষমতায় আসুক, এই পরিস্থিতি বদলাবে না। যেই ক্ষমতায় আসুক, বাইরের দেশের কাছে আমাদের কোনও সম্মান নেই।’
সামনেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। কিন্তু ঘটনা পরম্পরা যেভাবে এগোচ্ছে সেদেশে, যেভাবে ভোটের ঠিক মুখেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে লম্বা সময়ের জন্য জেলের সাজা শোনানো হল, তাতে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে পাকিস্তানেরই আমনাগরিকদের একাংশের মনে। প্রথমে তথ্য ফাঁসের অভিযোগে ১০ বছর, তারপর তোষাখানা দুর্নীতির অভিযোগে ১৪ বছর। পাকিস্তানের লোকই বলছে, তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।