Afghanistan Crisis: এবার কী আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ করবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন!

Afghanistan, মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জোশেপ বোরেল আবেদন জানিয়েছেন আফগানিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে সেখানে যেন প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়।

Afghanistan Crisis: এবার কী আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ করবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন!
পূর্ববর্তী আফগান সরকারের সময় মহিলাদের জন্য নির্ধারিত মন্ত্রক এই নতুন তালিবান সরকার বন্ধ করে দিয়েছে ছবি-ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2021 | 3:03 PM

নয়া দিল্লি: কাবুলের (Kabul) মসনদে তালিবান বসার পর প্রায় এক মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এবার আফগানিস্তান (Afghanistan) ইস্যুতে পদক্ষেপ করার পক্ষে সওয়াল করলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (European Union)। রবিবার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিদেশী নীতি নির্ধারক প্রধান জোশেপ বোরেল (Josep Borrell) জানিয়েছেন দিন দিন আফগানিস্তানে পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। নিজের লেখা একটি ব্লগে জোশেপ বলেন “আফগানিস্তান গুরুতর এক মানবিক সংকটের মুখোমুখি। সেদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থাও অবক্ষয়ের পথে। এই অবনতি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সাধারণ আফগান জনগণের জন্য ভয়াবহ।”

গত মাসে আফগানিস্তানে নব গঠিত অভ্যন্তরীন সরকারে একজনও মহিলা নেই। এমন কী প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ও কাউকে রাখা হয়নি। এই লক্ষণ কেই পতনের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে মনে করেন জোশেপ বোরেল। তাঁর লেখা ব্লগে তিনি জানিয়েছেন ” আমাদের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট আছে আফগানিস্তানে মহিলাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার সময় তালিবান যোদ্ধারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই কার্যকলাপ তাঁর বিরুদ্ধে।”

২০ বছর পর সমগ্র আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর, কাবুলের ক্ষমতায় আসীন হয়েছে তালিবান। কাবুলের ক্ষমতভার নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার পর থেকেই চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে আফগান মহিলারা। আগের তালিবানি শাসনে নারীর অধিকার খর্ব করার যে মারত্মক অভিযোগ ছিল সেই দিনই পুণরায় ফিরতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ছেলেদের স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করা হলেও এখনও মেয়েদের স্কুল নিয়ে কিছু জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি কাবুলের মহিলা সরকারি কর্মীদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপির (AFP) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, তালিবান মুখপাত্র জ়াবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, মহিলাদের স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। খুব দ্রুত এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গিয়েছে, পূর্ববর্তী আফগান সরকারের সময় মহিলাদের জন্য নির্ধারিত মন্ত্রক এই নতুন তালিবান সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। তার পরিবর্তে কঠোর ধর্মীয় মতবাদ বাস্তবায়নের জন্য ‘প্রার্থনা ও নির্দেশনা’ মন্ত্রক খোলা হয়েছে। এর আগের তালিবানি শাসনে ‘প্রার্থনা ও নির্দেশনা’ মন্ত্রক শরিয়া (Sharia Rule) আইনের নামে নাগরিকদের অধিকার খর্ব করার ব্যাপারে কুখ্যাত ছিল।

মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জোশেপ বোরেল আবেদন জানিয়েছেন আফগানিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে সেখানে যেন প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। নিজের লেখা ব্লগে তিনি জানিয়েছেন “এই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে কাজ করার জন্য যাবতীয় পরিস্থিতি আমরা খতিয়ে দেখছি। কিন্তু নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বারবার বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে।”

আরও পড়ুন Mamata Banerjee: এবার মমতার শপথপাঠ নিয়ে তৈরি হল জটিলতা, রাজভবন থেকে আসছে না সবুজ সঙ্কেত