US on India-Canada Row: ‘ভারত ও কানাডার মধ্যে যদি বাছতে বলা হয় আমেরিকাকে, তবে…’, বড় মন্তব্য প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার
Pentagon: পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রুবিন বলেন, "জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারতের তুলনায় কানাডারই বেশি বিপদ। আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো খুব বড় ভুল করেছেন। তিনি এমনভাবে অভিযোগ এনেছেন যে তা প্রত্যাহার করার আর সুযোগ নেই।"
ওয়াশিংটন: খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার মৃত্য়ু ঘিরে তুমুল বিতর্ক। ভারত ও কানাডার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। দুই দেশই একে অপরের রাষ্ট্রদূতের সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছে, ভ্রমণেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এই টানাটানিতে এবার অন্যান্য দেশও জড়িয়ে পড়ছে। খালিস্তানি নেতার মৃত্যুতে ভারতের হাত রয়েছে, এই অভিযোগ আনার পরই আমেরিকার কাছেও ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছে কানাডা। মার্কিন মুলুকের তরফে বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করা হচ্ছে। এরইমাঝে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিকের। ভারত ও কানাডার মধ্যে যদি কোনও একটি দেশকে বেছে নিতে বলা হয়, তবে আমেরিকা ভারতকেই বেছে নেবে। শুক্রবার এমনটাই বলেন পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্তা মাইকেল রুবিন। তাঁর এই মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরেছে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। কানাডার অভিযোগ, নিজ্জরের মৃত্যুর পিছনে ভারতের হাত থাকতে পারে। ভারতের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। এই প্রসঙ্গে পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রুবিন বলেন, “জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারতের তুলনায় কানাডারই বেশি বিপদ।”
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো খুব বড় ভুল করেছেন। তিনি এমনভাবে অভিযোগ এনেছেন যে তা প্রত্যাহার করার আর সুযোগ নেই। উনি যে অভিযোগ এনেছেন, হয় তার সপক্ষে প্রমাণ নেই। যদি ওখানে (কানাডা) কিছু হয়ে থাকে, তবে ওনাকে এই ব্যাখ্যাও দিতে হবে যে কেন একজন জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।”
যদি কানাডা ও ভারতের মধ্যে কোনও একটি দেশকে বেছে নিতে বলা হয়, তবে ভারতকেই বেছে নেবে আমেরিকা, এমনটাই বলেন মাইকেল রুবিন। এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ওট্টায়া নয়া দিল্লির সঙ্গে এমনভাবে ঝামেলা শুরু করছে, যেমন পিপড়ে হাতির বিরুদ্ধে লড়াই।”
জাস্টিন ট্রুডোর কম অ্যাপ্রুভাল রেটিংয়ের প্রসঙ্গ টেনেও তিনি বলেন, “বেশিদিন আর ওনার প্রধানমন্ত্রিত্ব নেই। ওঁ চলে যাওয়ার পর আমেরিকা আবার কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে নিতে পারবে।”