জালালাবাদ: ফের হামলা জালালাবাদে (Jalalabad)। এবারও নিশানা সেই তালিবানই (Taliban)। শনিবার আফগানিস্তানের জালালাবাদের পূর্বের একটি শহরে হামলা চালায় এক বন্দুকবাজ (Gunman)। ঘটনায় দুই তালিবান বাহিনীর সদস্য ও দুই স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুই স্থানীয় বাসিন্দা।
নানঘরকর প্রদেশের তালিবানের সাংস্কৃতিক আধিকারিক মহাম্মদ হানিফ জানান, গতকাল দুপুরেই আচমকা হামলা চালায় ওই বন্দুকবাজ। তালিববাহিনীর সঙ্গে জোরদার গুলির লড়াই শুরু হয়। সংঘর্ষে দুই তালিবানি যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ওই বন্দুকবাজ এলোপাথাড়ি গুলি চালানোয় দুই স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু ও দুইজন আহতও হন।
স্থানীয় তালিব প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলির আঘাতে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন নানঘরকর জেলার কৃষিবিভাগের প্রাক্তন মুখপাত্র সইদ মারুফ সাদাত। তাঁর খুড়তুতো ভাই শরিফ সাদাত জানান, এপি সাদাতের ছেলেও গতকালের হামলায় আহত হয়েছেন। এছাড়াও পথচলতি আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এখনও অবধি এই হামলার দায়স্বীকার কোনও গোষ্ঠী স্বীকার না করলেও জালালাবাদকে ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান অর্থাৎ আইসিস-কের প্রধান ঘাটি বলেই মনে করা হয়। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দলের পর থেকেই যেভাবে তালিবানের উপর একের পর এক হামলা চলছে, এতে আইসিস-কে গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগেও জালালাবাদে একাধিকবার তালিবান যোদ্ধাদের উপর হামলা চলেছে। সে সময়ে দায়স্বীকার করে নিয়েছিল এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীই।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরই তালিবানের নতুন শত্রু হয়ে উঠেছে আইসিস-কে। দুই জঙ্গিগোষ্ঠীই ইসলামিক আইনে বিশ্বাসী হলেও আইসিস-কে আরও চরমপন্থী। তারা আধুনিক শরিয়া আইন নয়, ইসলাম ধর্মের সূচনায় যে শরিয়া আইন ছিল, তা প্রয়োগ করতে চায়। তারা ইসলামিক আইন কেবল আফগানিস্তানেই নয়, সমগ্র এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে দিতে চায়।
আরও পড়ুন: Pakistan: সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা সরকারের! কী জানালেন স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রী
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জালালাবাদে তালিব বাহিনীর উপর হামলা চলছেই। গত সপ্তাহেই জোড়া হামলায় কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়। তার আগেও বেশ কয়েকবার হামলা চালানো হয়েছে তালিবান বাহিনীর উপর। হামলার ঘটনা স্বীকার করে নিলেও হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি তারা।