Illicit Relationship:পড়ুয়ার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত স্কুলের শিক্ষিকা! জানার পর স্বামী যা করলেন

Teacher-Student Affair: স্বামী বাড়িতে না থাকলেই ওই পড়ুয়া চলে আসত শিক্ষিকার বাড়িতে। সেখানেই যৌনতায় মাততেন তাঁরা। একাধিক বার তাঁদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না ওই শিক্ষিকার স্বামী।

Illicit Relationship:পড়ুয়ার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত স্কুলের শিক্ষিকা! জানার পর স্বামী যা করলেন
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 21, 2022 | 8:10 PM

নিউ ক্যাসল: তিনি হাইস্কুলের শিক্ষিকা। ২৬ বছরের ওই যুবতী বিবাহিত। ওই শিক্ষিকা স্কুলের গানের দলের পরিচালকও। সম্প্রতি সেই স্কুলেরই এক পড়ুয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। স্বামী বাড়িতে না থাকলেই ওই পড়ুয়া চলে আসত তাঁর বাড়িতে। সেখানেই যৌনতায় মাততেন তাঁরা। একাধিক বার তাঁদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না ওই শিক্ষিকার স্বামী। সম্প্রতি শিক্ষিকার আইপ্যাডে ওই পড়ুয়ার সঙ্গে চ্যাট দেখে ফেলেন তাঁর স্বামী। তা দেখেই তো স্বামীর চক্ষু চড়কগাছ। চ্যাটের মাধ্য়মেই শিক্ষিকার স্বামী জানতে পারেন পড়ুয়ার সঙ্গে নিজের স্ত্রীর যৌন সম্পর্কের কথা। তার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানান তাঁর স্বামী। এর পরই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। নাবালিকা ও শিক্ষিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ২টি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে।

নিউ ক্যাসেলের উইলমিংটন হাইস্কুলে শিক্ষিকা ছিলেন অলিভিয়া অর্টজ। সেই স্কুলেরই ১৭ বছরের এক পড়ুয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অলিভিয়ার স্বামীও ওই স্কুলেই ফ্রিলান্সার শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি গিয়েছিলেন আমেরিকার ফ্লোরিডাতে। সেখান থেকে ফিরেই স্ত্রীর আইপ্যাডে তিনি দেখতে পান একটি সেখানে। সেই চ্যাটে ১০০-র বেশি মেসেজ চালাচালি হয়েছে ওই পড়ুয়ার সঙ্গে। সেই যেখানে থেকে জানা গিয়েছে, একাধিক বার যৌনতায় মেতেছিলেন ওই শিক্ষিকা ও পড়ুয়া। এমনকি যৌনসম্পর্ক গোপন রাখতে বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করে চ্যাট করতেন টিচার স্টুডেন্ট।

এই ঘটনা সামনে আসার পরই ৯ মে ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ১৩ মে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। স্কুল থেকে বরখাস্ত হলেও কনসার্টে গান করার কাজে যোগ দিয়েছেন ওই পড়ুয়ার সঙ্গে যৌনতা করায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা। আদালতে বিষয়টি গড়ানোর পর অবশ্য দেড় লক্ষ ডলারের ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন ওই শিক্ষিকা। যদিও ২৫ মে ফের তাঁকে হাজির হতে হবে আদালতে।

কিন্তু এত কিছু ঘটনার পরও ১৭ বছরের ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অটুট আছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামী জেনে যাওয়ার পরও শিক্ষিকার পাশে দাঁড়াতে তিনি তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। শিক্ষিকাকে ভালবাসেন বলেও জানিয়েছেন ১৭ বছরের ছাত্রী।

এর আগে ওই স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছিল। ৩৭ বছরের ওই শিক্ষকের নাম জোনাথন প্রিয়ানো। পডডুয়াদের গায়ে, পায়ে সুড়সুড়ি দিয়ে তাদের সঙ্গে যৌন ইঙ্গিত করার অভিযোগ উঠেছিল জোনাথনের বিরুদ্ধে। ওই স্কুলের ১০ জন পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।