
ঢাকা: প্রয়াত বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি (Osman Hadi)। এক সপ্তাহের জীবন-মরণের লড়াইয়ের পর গতকাল, ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে ওসমান হাদির মৃত্যু হয়। আর হাদির মৃত্যুর পরই আবারও জ্বলে উঠল বাংলাদেশ (Bangladesh)। জায়গায় জায়গায় অশান্তি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় নেমেছে সেনা। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আর এর মাঝেই মুখ খুললেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। ওসমান হাদির মৃত্যু নিয়ে তিনি কী বললেন?
হাদির মৃত্যুর খবর মিলতেই যেন জ্বলে ওঠে বাংলাদেশ। ঢাকা সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে। রোষ আবারও আছড়ে পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি, ৩২ নম্বর ধানমণ্ডিতে। সেখানেও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়। দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা যখন শিকেয়, তখন রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন। হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মহম্মদ ইউনূস বলেন যে শনিবার দেশের সব সরকারি, সরকার স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ হাই কমিশনগুলিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একই সঙ্গে শুক্রবার দেশের প্রতিটি মসজিদ থেকে শহীদ ওসমান হাদির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মস্থানগুলিতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।
ওসমান হাদির পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ইউনূস। ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি। তবে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা? তা নিয়ে উত্তর দেননি প্রধান উপদেষ্টা। তিনি শুধুমাত্র জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন।