AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: ‘১-২ মাসের মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে’, আশঙ্কায় বাংলাদেশের শিল্পপতিরা

Bangladesh: সালেউদ জামান খান বলেন, "সরকার বলে দিচ্ছে ৭ তারিখের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে। না হলে পদক্ষেপ করবে। তাহলে একজন মালিককে যদি তাঁর শ্রমিক কাজ না-ও করেন, প্রতি মাসে ১৫ কোটি টাকা দিতে হয়। তাহলে আমার মতো ফ্যাক্টরির মালিক কোথা থেকে টাকা দেবেন।"

Bangladesh: '১-২ মাসের মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে', আশঙ্কায় বাংলাদেশের শিল্পপতিরা
কারখানার কর্মীদের কাজের এই ছবি ২ মাস পর নাও দেখা যেতে পারে, আশঙ্কা বাংলাদেশের শিল্পপতিদেরImage Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: May 25, 2025 | 11:35 PM
Share

ঢাকা: বাংলাদেশে বিদ্যুতের সংকট। গ্যাস না পেয়েই বিল দিতে হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-র সহ-সভাপতি সালেউদ জামান খান। রবিবার (২৫ মে) ঢাকার গুলশন ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে বিটিএমএ সহ-সভাপতি এ কথা বলেন।

সালেউদ জামান খান বলেন, “সরকার বলে দিচ্ছে ৭ তারিখের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে। না হলে পদক্ষেপ করবে। তাহলে একজন মালিককে যদি তাঁর শ্রমিক কাজ না-ও করেন, প্রতি মাসে ১৫ কোটি টাকা দিতে হয়। তাহলে আমার মতো ফ্যাক্টরির মালিক কোথা থেকে টাকা দেবেন। আমার কারখানায় গত ৫ থেকে ৬ মাস যাবৎ শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিচ্ছি। গ্যাস কম্পানিগুলো গ্যাস সাপ্লাই না করে বিল নিচ্ছে।” তাঁর বক্তব্য, গ্যাস ব্যবহার না করেই ১০ কোটি টাকা গ্যাস বিল দিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমরা গ্যাস না পেয়ে বিদ্যুৎ লাইন, আরইবির লাইন সংস্থান করলাম। সেখানে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে ৭ ঘণ্টা। একটা ফ্যাক্টরিতে প্রতিদিন ৬ থেকে ৫ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। তাহলে আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানতে চাই, কিভাবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা টিকে থাকবেন? বাপের জায়গা বিক্রি করে ভবিষ্যতে ব্যবসায়ী হতে পারবেন। কিন্তু আজকে যে শিল্প-মালিকগণ মারা যাবে। বাংলাদেশে শিল্প-মালিক, উদ্যোক্তা কিন্তু আর হবে না। এটা হারিয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের সভাপতি শওকত আজিজ রাসেব একটা কথা বলেছেন ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের খুঁজে খুঁজে মারা হয়েছে দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য। আর আজকে আমাদের যেসব শিল্প উদ্যোক্তা গত ২০ বছরে বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পার করে আজকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের, বাংলাদেশের জিডিপিতে আবদান রাখছে, তাদের মারার জন্য গ্যাসের সাপ্লাই, বিদ্যুতের সাপ্লাই বন্ধ করে বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। একবার যদি শিল্প বন্ধ হয়ে যায়, তা চালু করা সম্ভব হবে না।”

সালেউদ জামান খান বলেন, “ভারতের তরফে একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ব্যবসা প্রায় বন্ধের মতো অবস্থা। সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। এসবের পর বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাঙ্কের সুদের হার ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ। যে জায়গায় আগে আমরা ২ থেকে ৩ শতাংশ দিতাম। তাহলে আপনারাই বলুন কীভাবে একজন ব্যবসায়ী বাঁচবে। যদি এভাবে চলতে থাকে আমি মনে করি আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। তা আর জীবনে খোলা হবে না।”