Kiss Street: সকাল-সন্ধে এই গলিতে সবাই চুমু খেতে যান!
The Alley of Kiss: পশ্চিমী দেশে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও, ভারতীয় সংস্কৃতিতে এখনও সকলের সামনে নিজের প্রিয় মানুষের ঠোটে ঠোট লাগিয়ে চুমু খাওয়াকে অপরাধ বলেই মনে করা হয়। তাই বলে কি চুমু খাবে না যুগলরা? এখন 'OYO' জনপ্রিয় হলেও, অনেকেই সরু অন্ধকার গলি খুঁজে নেন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে চুমু খাওয়ার জন্য।
মেক্সিকো সিটি: প্রেমময় ফেব্রুয়ারি মাস। চলছে প্রেমের সপ্তাহ। আজ, ১২ ফেব্রুয়ারি হাগ ডে। মঙ্গলবার কিস ডে। তারপরই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। প্রেমের দিবস হিসাবে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিনটি। ভ্য়ালেন্টাইন্স ডে উদযাপনের পিছনে রয়েছে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের কাহিনি। অনেকেই জানেন এই কাহিনি। এই প্রেমের সপ্তাহে তাহলে জেনে নিন অন্য এক গল্প। এই গল্প চুমুর এবং চুমুর গলির।
পশ্চিমী দেশে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও, ভারতীয় সংস্কৃতিতে এখনও সকলের সামনে নিজের প্রিয় মানুষের ঠোটে ঠোট লাগিয়ে চুমু খাওয়াকে অপরাধ বলেই মনে করা হয়। তাই বলে কি চুমু খাবে না যুগলরা? এখন ‘OYO’ জনপ্রিয় হলেও, অনেকেই সরু অন্ধকার গলি খুঁজে নেন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে চুমু খাওয়ার জন্য। তবে আপনি কি জানেন, বিশ্বে এমন একটি গলি রয়েছে, যার নাম কিস স্ট্রিট? এখানে সবাই যান প্রিয়জনকে চুমু খেতেই। কোথায় রয়েছে এই রাস্তা?
কোথায় কিস স্ট্রিট?
এই রাস্তাটি রয়েছে মেক্সিকোর গুয়ানাজুয়াতোতে। পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন না করলেও, দেশ-বিদেশের অনেকেই এই চুমুর গলি দেখতে আসে।
কেমন এই গলি?
জানা গিয়েছে, গুয়ানাজুয়াতোয় এই গলিটি এতটাই সরু যে দুইজনের বেশি ঢোকা সম্ভব নয় সেখানে। সকাল থেকেই লম্বা লাইন পড়ে পর্যটকদের। গলির ভিতরে ঢুকে চুমু খান যুগলরা। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যায় গলিটি।
কেন নাম হল কিস স্ট্রিট? চুমু খাওয়ার উন্মাদনাই বা কেন?
‘অ্যালি অফ দ্য কিস’-র পিছনে রয়েছে একটি কাহিনি। শোনা যায়, এক বিত্তশালী যুবতী এক গরিব যুবকের প্রেমে পড়েছিল। পরিবার মানেনি সেই সম্পর্ক, দেখা করাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়েই তারা এই গলিতে দেখা করত। গলিটি এতটাই সরু যে বারান্দা থেকে দাঁড়িয়েই চুম্বন বিনিময় করত তাঁরা। শেষ অবধি তাদের প্রেমের করুণ পরিণতি হয়।