এই ছিল মুনিরের মনে! মহা-ফাঁপরে শেহবাজ শরিফ
অতীত বলছে মুনির বরাবর ধর্মীয় কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী। পাকিস্তানে লোকে বলে জেহাদি জেনারেল। ভারতে জঙ্গি হামলার প্লট তৈরির পিছনে উচ্চাকাঙ্খী মুনিরের নানারকম ভাবনা ছিল।

পাকিস্তান এখন অস্তিত্বের সংকটে। এর জন্য দায়ী কে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের পাঠালো কে? সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে দেশটার এখন কী অবস্থা? ওরা এবার করবেটা কী? পাকিস্তান কি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে? এরকম নানা প্রশ্ন উঠছে গত কয়েক দিন ধরে। গোয়েন্দা সূত্রে যা খবর পহেলগাঁওয়ের ঘটনার জন্য শাহবাজ শরিফকে ঠিক সরাসরি দায়ী করা যাবে না। কাশ্মীরে হামাসের স্টাইলে মাস কিলিংয়ের প্ল্যানটা ছিলো পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার ঠিক আগেই মুনির প্রকাশ্যে দ্বিজাতি তত্ত্বের পক্ষে সওয়াল করেন। অতীত বলছে মুনির বরাবর ধর্মীয় কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী। পাকিস্তানে লোকে বলে জেহাদি জেনারেল। ভারতে জঙ্গি হামলার প্লট তৈরির পিছনে উচ্চাকাঙ্খী মুনিরের নানারকম ভাবনা ছিল।
সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে দেখলেন, যে পাকিস্তানে সেনার নামে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেতো সেখানে সেনাকে এখন লোকে উঠতে-বসতে অপদস্থ করছে। বিশেষ করে সেনার বিরাগভাজন হওয়ায় ইমরান খানের জেলযাত্রা, ওদেশের বহু মানুষ মেনে নিতে পারেননি। আর বালুচিস্তান ও খাইবার-পাখতুনখোয়ায় পাক আর্মির তো উর্দি খুলে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে। তাই, মুনির প্ল্যান করলেন যে ভারতে জঙ্গি হামলা করা যাক। তাহলে, ভারতও রিটালিয়েট করবে। লিমিটেড স্কেলে যুদ্ধ হবে। পাকিস্তানে আবারও সেনার নামে জয়ধ্বনি উঠবে। দেশও কিছুটা ঐক্যবদ্ধ হবে আর আমার গদি শক্ত হবে, সম্মান বাড়বে। জেনারেল মুনির মনে মনে জিয়াউল হক কিংবা পারভেজ মুশারফ হওয়ার কথা ভেবেছিলেন কিনা বলা কঠিন। তবে শোনা যায় যে মুশারফ যেমন নিজের চারজন ঘনিষ্ঠ আর্মি অফিসারের কথায় কার্গিলে অনুপ্রবেশে সিলমোহর দেন। তেমনই, এই মুনিরকে বুদ্ধি জোগান তাঁর ঘনিষ্ঠ পাক সেনার চার উচ্চপদস্থ অফিসার। তো তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই সম্ভবত পহেলগাঁও প্ল্যানে ফাইনাল নডটা দিয়েছিলেন পাক সেনাপ্রধান।
কিন্তু, ক্যালকুলেশনে ভুল হয়ে গেল। ভেবেছিলেন, ভারত হয়ত উরি বা বালাকোটের মতো কিছু একটা আবার করবে। শরিফকে দিয়ে তিনি ভিকটিম কার্ড খেলাবেন। আমেরিকা, চিন সকলে এসে যুদ্ধ থামিয়ে দেবে। কিন্তু, বাস্তবে যেটা হল, ভারত একসঙ্গে ৯টা জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দিল। এরপর, লড়াইয়ের দিকে না গেলে তো দেশে আর মুখ দেখানো যেতো না। তাই, মুনির ভারতকে আক্রমণের রাস্তায় গেলেন। আর তিনি নিজে তো বটেই, এটা করতে গিয়ে পাকিস্তানেরও সর্বনাশ ডেকে আনলেন। আবার আরেকটা ভুল দেখুন আমেরিকা জানিয়ে দিল, আমরা ভারত-পাকিস্তানের ঝগড়ায় নেই। সৌদি-ইরান কেউ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে পাকিস্তানকে জড়িয়ে ধরছে না, ধরবে না। আর, পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ হওয়া তো দূরের কথা। ভারতের প্রত্যাঘাতে আরও উত্সাহ পেয়ে যায় বালুচ বিদ্রোহীরা। লড়াই যখন চলছিল, তখন পাক সেনাপ্রধানকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত চাপের মুখে পাকিস্তানকে ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিতে হল। উচ্চাকাঙ্খী হতে গিয়ে এখন মুখ লুকনোর জায়গাই খুঁজে পাচ্ছেন না আসিম মুনির। আমার মনে হয় তাঁর আগামী দিনগুলো আরও কঠিন হতে চলেছে। আর জেহাদি জেনারেলের কৃতকর্মের ভার বইতে হবে পাক সেনা ও পাক সরকারকে।
Disclaimer: This video contains news and analysis related to a recent terror attack in Kashmir. The content may include sensitive visuals and discussions that could be distressing to some viewers. Viewer discretion is advised. We strongly condemn all forms of violence and terrorism. The purpose of this content is solely to inform and create awareness based on verified reports.
