AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

UN Resolution On Islamophobia: ইসলাম ভীতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রস্তাবনা পাকিস্তানের, ভোট দিল না ভারত, ব্যাখ্যা করল কারণও

India on Islamophobia: "ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পদক্ষেপ" শীর্ষক ওই প্রস্তাবনায় ১১৫টি দেশ এই খসড়ার সপক্ষে ভোট দেয়। কোনও দেশ এই প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে ভোট না দিলেও, ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, ইউক্রেন, ব্রিটেন সহ ৪৪টি দেশ এই প্রস্তাবনায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে। 

UN Resolution On Islamophobia: ইসলাম ভীতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রস্তাবনা পাকিস্তানের, ভোট দিল না ভারত, ব্যাখ্যা করল কারণও
রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ।Image Credit: Twitter
| Updated on: Mar 16, 2024 | 2:00 PM
Share

জেনেভা: ইসলাম-ভীতি নিয়ে প্রস্তাবনায় ভোটদান থেকে বিরত থাকল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে সাধারণ সভায় পাকিস্তান ও চিনের তরফে আনা হয়েছিল ইসলাম ভীতি নিয়ে খসড়া প্রস্তাবনা। সেই প্রস্তাবনায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে ভারত। কেন ভোট দিল না ভারত, তার কারণও ব্যাখ্যা করল ভারত।

শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ সভায় পাকিস্তান ইসলাম-ভীতি নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবনা আনে। “ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পদক্ষেপ” শীর্ষক ওই প্রস্তাবনায় ১১৫টি দেশ এই খসড়ার সপক্ষে ভোট দেয়। কোনও দেশ এই প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে ভোট না দিলেও, ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, ইউক্রেন, ব্রিটেন সহ ৪৪টি দেশ এই প্রস্তাবনায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে।

ভারত পাকিস্তানের আনা প্রস্তাবনায় ভোটদান না করার কারণ হিসাবে জানায় যে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও ধর্মকে আলাদা না করে বরং হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও অন্যান্য় ধর্মে বিশ্বাসীরাও ধর্মীয় হিংসা ও বৈষম্যের ব্যাপকতাকে স্বীকার করতে হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, “দশকের পর দশক ধরে প্রমাণ মিলেছে যে যারা আব্রাহমিক ধর্ম অনুসরণ করে না, তারাও ধর্মীয় ভীতির শিকার হয়। হিন্দু বিরোধী, বৌদ্ধ বিরোধী ও শিখ বিরোধী মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। খ্রিস্টান-ভীতি, ইসলাম ভীতির জেরে সমস্ত পদক্ষেপের নিন্দা করলেও, ইসলামের গণ্ডি পেরিয়ে সমস্ত ধর্মীয় ভীতিকেই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।”

শুধুমাত্র কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ভিত্তিতে এমন প্রস্তাবনা তৈরি করা সঠিক নয়। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে রাষ্ট্রপুঞ্জের উচিত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। রাষ্ট্রপুঞ্জের সমস্ত সদস্যদের ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত বলেও উল্লেখ করে ভারত।