Global Warming: ইরান বিমানবন্দরের তাপমাত্রা উঠল ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, এটা কীসের ইঙ্গিত?
Global Warming: মাত্রা ছাড়াতে-ছাড়াতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা ইরানের পার্সিয়ান গল্ফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ( Persian Gulf International Airport )-সংলগ্ন অঞ্চলে এলেই বোঝা যাচ্ছে।

তেহরান: এটাও সম্ভব! মাত্রা ছাড়াতে-ছাড়াতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming) কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা ইরানের পার্সিয়ান গল্ফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ( Persian Gulf International Airport )-সংলগ্ন অঞ্চলে এলেই বোঝা যাচ্ছে। রবিবার পার্সিয়ান গল্ফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-সংলগ্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা এককথায় অবিশ্বাস্য। অতিরিক্ত এই তাপমাত্রার সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতাও ছিল অতিরিক্ত। এরকম তাপমাত্রায় কারও পক্ষে সুস্থ থাকা যে সম্ভব নয়, সে কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবহবিদরাও জানাচ্ছেন।
ইউএস স্টর্মওয়াচের কলিন ম্যাকার্থি টুইট করে পার্সিয়ান গল্ফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-সংলগ্ন অঞ্চলের তাপমাত্রার কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, “আজ (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ইরানের পার্সিয়ান গল্ফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ১৫২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে (৬৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই পরিস্থিতি মানুষ অথবা প্রাণীর পক্ষে সহনশীলতার বাইরে।” এই পরিস্থিতির জন্য গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও হিট ওয়েভ-কে দায়ী করেছেন তিনি।
Persian Gulf International Airport in Iran reported a heat index of 152°F (66.7°C) today at 12:30 pm.
Those are intolerable conditions for human/animal life. pic.twitter.com/R3RJ9pf4DC
— Colin McCarthy (@US_Stormwatch) July 16, 2023
অতিরিক্ত তাপমাত্রার পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতাও অত্যধিক ছিল। ১৬ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পার্সিয়ান গল্ফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-সংলগ্ন অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬৫ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছেন স্থানীয়রা। তবে কেবল ইরানের এই বিমানবন্দর সংলগ্ন অঞ্চল নয়, আমেরিকা, ইউরোপের কিছু অংশও এরকম অস্বাভাবিক গরমের সাক্ষী হচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। এর জন্য এল নিনো-কে দায়ী করছেন আবহবিদরা। তাঁদের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো আরও ঘনীভূত হচ্ছে এবং ফ্লোরিডা সংলগ্ন আটলান্টিক মহাসাগরের জলের নীচের তাপমাত্রা ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। সবমিলিয়ে, চরম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে উল্লিখিত, গত কয়েক বছর ধরে জুলাই মাস সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হিসাবে উঠে এসেছে। প্রথম ১৭ দিনের মধ্যে ১০ দিন বিশ্বজুড়ে উষ্ণতম দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ব্যাপারে সতর্ক হতে না পারলে বিশ্বজুড়ে আরও ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহবিদরা।
