
ঢাকা: বাংলাদেশে বড় পট পরিবর্তন। ইউনূস সরকারের জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা, ঠিক তারপরই জানা গেল দেশে ফিরছেন বিএনপি(BNP)-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) ছেলে তারেক রহমান (Tarique Rahman)। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম তিনি বাংলাদেশে আসছেন।
বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া। সঙ্কটজনক অবস্থা তাঁর। ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি। ফুসফুসে জল জমেছে, কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে তাঁর। শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে বিদেশে চিকিৎসার জন্যও স্থানান্তর করা যাচ্ছে না তাঁকে। চিন থেকে চিকিৎসক এসেছেন বাংলাদেশে। এই পরিস্থিতিতে আগেই একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন।
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান যে আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ফিরছেন তারেক রহমান। দল তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন তারেক রহমান। পরের বছর তিনি মুক্তি পান। এরপর ওই বছরই অর্থাৎ ২০০৮ সালে তিনি চিকিৎসার জন্য সপরিবারে ব্রিটেন যান এবং সেখানেই থেকে যান। গত বছর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মুখে যখন আওয়ামি লীগের সরকারের পতন হয় এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়, তারপরই তারেক রহমানের শাস্তির রায় বাতিল করে দেওয়া হয়। একাধিক মামলা থেকেও অব্যহতি পান তিনি। অর্থাৎ বাংলাদেশে ফেরার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা ছিল না তারেক রহমানের।
সম্প্রতি যখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়, তখনও প্রশ্ন উঠেছিল যে তারেক রহমান কি দেশে ফিরে আসছেন? লন্ডন থেকে তিনি পোস্ট করে লিখেছিলেন, “এমন সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ-স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনও সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।”
এরপরই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে জানানো হয়, তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনও বাধা নেই। অবশেষে বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁর বাংলাদেশে ফেরার সময়টাও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন হবে।