AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kenya: কুকুরকে বুকের দুধ খাওয়াতে বাধ্য করলেন বস, তোলা হল বিকৃত ভিডিয়ো

Kenya: পেটের টানে সদ্যোজাত সন্তান ও স্বামীকে রেখে গিয়েছিলেনকাজ করতে। নিয়োগকর্তা মহিলাকে দিলেন কুকুরছানাকে স্তন্যদান করার কাজ।

Kenya: কুকুরকে বুকের দুধ খাওয়াতে বাধ্য করলেন বস, তোলা হল বিকৃত ভিডিয়ো
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2022 | 9:48 AM
Share

নাইরোবি: সন্তানের জন্মের দুই মাস পরই, পেটের টানে স্বামী-সন্তানদের ছেড়ে সৌদি আরবে কাজ করতে চলে গিয়েছিলেন কেনিয়ার এক মহিলা। কিন্তু, সেখানে কোনও সুস্থ কাজ তাঁকে দেওয়া হয়নি। বরং, ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁকে তাঁর নিয়োগকর্তার কুকুরকে স্তন্যপান করাতে বাধ্য করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই অবমাননাকর কাজের ভিডিয়োও তুলে রেখেছেন তাঁর নিয়োগকর্তা।

কেনিয়ার সেন্ট্রাল অর্গানাইজেশন অব ট্রেড ইউনিয়ন বা কোটুর সেক্রেটারি জেনারেল ফ্রান্সিস অ্যাটওলি জানিয়েছেন, গত রবিবার (৯ অক্টোবর) সৌদি আরবে থাকা ওই মহিলার কাছ থেকে একটি কুরুচিকর ভিডিয়ো পেয়েছেন। সেই ভিডিয়োতে ওই মহিলাকে একটি কুকুরকে বুকের দুধ খাওয়াতে দেখা গিয়েছে। মহিলার দাবি, তাঁর নিয়োগকর্তা এই কাজে তাঁকে বাধ্য করেছেন।

আটওলি বলেছেন, “যখন তারা (নিয়োগকারীরা) বুঝতে পেরেছিল যে তিনি স্তন্যদান করতে পারেন, তখন নিয়োগকর্তা তাঁকে তাঁর কুকুরছানাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর কাজ দিয়েছিলেন। এটি পরোক্ষ দাসত্ব। আমি কেনিয়ার সরকারের কাছে সৌদি আরব এবং অন্যান্য পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলিতে কেনিয়ানদের দুর্দশার সমাধান করার জন্য আন্তঃসরকার কূটনীতির আহ্বান জানিয়েছি।”

আটওলি সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, “সৌদি আরবের সঙ্গে কেনিয়াকে পরিষেবার শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করতে দিন। যাতে আমাদের নাগরিকরা কোনও শালীন কাজ পায়, কুকুরকে বুকের দুধ খাওয়ানোর কাজ নয়। সৌদি আরবে যে অমানবিক কর্মকাণ্ড চলছে, তা কেনিয়ার মর্যাদা ও সম্মানকে অবমাননা করছে। কেনিয়ান হিসাবে আমাদের নিজস্ব নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হচ্ছে। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি, সমস্ত কর্মসংস্থান সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করা হোক এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী বাইরের দেশে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সমস্যাগুলি পর্যালোচনা করা হোক। মর্যাদা হারানোর পরিবর্তে কেনিয়ানরা যেমন আছেন, তেমন থাকাই ভাল।”