Indonesia earthquake: ইন্দোনোশিয়ার ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ১৬২, গুরুতর আহত আরও ৩০০, বাস্তুচ্যুত ১৩,০০০
Magnitude 5.6 earthquake rattles Indonesia: সোমবার (২১ নভেম্বর) শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার মূল দ্বীপ জাভা। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্তত ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৩০০ জন আহত হয়েছেন।
জাকার্তা: সোমবার (২১ নভেম্বর) শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার (earthquake rattles Indonesia) মূল দ্বীপ জাভা। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্তত ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৩০০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে এখনও বহু মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূকম্পনের উৎসটি ছিল পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর নামে এক এলাকায়। মাটি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার নীচে কম্পনটি সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভুতাত্ত্বিক বিভাগ। তবে তারা আশ্বস্ত করেছে যে, ভূমিকম্পটি স্থলভাগে সৃষ্ট হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা আশ্বস্ত করেছে যে, সুনামির কোনও সম্ভাবনা নেই।
#BREAKING#Indonesia ?? Widespread damage and chaos in #Cianjur from 5.6 Mw (updated) #earthquake in West Java. Two people died and four injure. TELEGRAM JOIN ? https://t.co/anmxTr9HCh pic.twitter.com/RpZqp5UM84
— Top Disaster (@Top_Disaster) November 21, 2022
পশ্চিম জাভার গভর্নর রিদওয়ান কামিল বলেছেন, “কমপক্ষে ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন। এখনও অনেক লোক ঘটনাস্থলে আটকা পড়ে আছেন। আমরা ধরে নিচ্ছি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। অনেকগুলি ভবন ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে এবং ১৩,০০০-এরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।”
সিয়ানজুরের প্রশাসনের প্রধান হারমান সুহেরমান বলেছেন, বেশিরভাগ মৃত্যুর শুধুমাত্র একটি হাসপাতালেই ঘটেছে। অধিকাংশই ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষ চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন। এর আগে, তিনি প্রাথমিকভাবে ২০ জনের এবং পরে ৪৬ জনের মত্যুর খবর জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হতাহতরা আসছেন। অধিকাংশেরই বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়ে শরীরের বিভিন্ন হাড় ভেঙে গিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
#Indonesia #Earthquake: Nearly 20 dead, 300 injured#Earthquake #WestJava #Java pic.twitter.com/03VJHv4RZg
— Himanshu dixit ? (@HimanshuDixitt) November 21, 2022
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা তেমন বেশি না হলেও, বড় মাপের ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। সেই দেশের জাতীয় বিপর্যয় সংস্থা জানিয়েছে, সিয়ানজুর এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ মূল্যায়ন করছেন। স্থানীয় টিভি চ্যানেলের ফুটেজে দেখা গিয়েছে সিয়ানজুরের বেশ কিছু ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
সিয়ানজুরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বড় মাপের কম্পন অনুভব করেছেন তাঁরা। এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি অফিসে ছিলেন। পায়ের নিচের মাটি আচমকা থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছিল। তিনি প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসেছিলেন। নড়তে পারেননি। কিন্তু, তাঁর হুশ ফেরার পরও মাটি কাঁপছিল। বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরে চলে কম্পন, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। দীর্ঘ কম্পনের জেরে অনেকে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন, অনেকে বমি করে ফেলেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। মূল ভূমিকম্পটির পরের দুই ঘণ্টায় আরও ২৫টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
সিয়ানজুর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তাতেও এই জোরালো কম্পন অনুভব করা গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, বহু মানুষকে বহুতল ছেড়ে আতঙ্কে নীচে নেমে এসেছেন। জাকার্তার সেন্ট্রাল প্লাজায় ইন্দোনেশীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতরের বাইরেও সেনা কর্মীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া “প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার”-এ অবস্থিত। এটি অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। পৃথিবীর ভূত্বকের বিভিন্ন টেকটোনিক প্লেটগুলি এই বলয়কে ঘিরেই মিলিত হয়। তাই প্রচুর পরিমাণে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত ঘটতে দেখা যায়।