Hindu Woman of Pakistan: পাকিস্তান পুলিশে ইতিহাস, নজির গড়লেন এই হিন্দু যুবতী!

Manisha Ropeta: পুলিশের কাজ ‘পুরুষের কাজ’, যে দেশে এই মানসিকতা এখনও বর্তমান, সেই দেশে সংখ্যালঘু মহিলা হিসাবে নিজের জায়গা করে নেওয়া যথেষ্ট কঠিন কাজ।

Hindu Woman of Pakistan: পাকিস্তান পুলিশে ইতিহাস, নজির গড়লেন এই হিন্দু যুবতী!
মণীষা রোপেটা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 1:32 PM

সিন্ধ: পাকিস্তানের পুলিশ বিভাগ। পুরুষদের দাপটই সেখানে বেশি। গোটা পুলিশ বিভাগে মহিলা অফিসারের সংখ্যা হাতে গোনা। সেই পুলিশ বিভাগেই ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হলেন এক হিন্দু মহিলা। নাম মণীষা রোপেটা। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই ওই পদে বসবেন তিনি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলা হিসাবে পাকিস্তানের প্রশাসনের উচ্চ পদে বসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের কাজ ‘পুরুষের কাজ’, যে দেশে এই মানসিকতা এখনও বর্তমান, সেই দেশে সংখ্যালঘু মহিলা হিসাবে নিজের জায়গা করে নেওয়া যথেষ্ট কঠিন কাজ।

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকা জাকোবাবাদ। সেখানেই জন্ম মণীষা রোপেটার। ডেপুটি পুলিশ সুপার হওয়া নিয়ে মণীষা বলেছেন, “ছোট থেকে আমি আর আমার বোন শুনে এসেছি পুরুষতান্ত্রিকতার বিধিনিষেধ। আমাদের বলা হত, উচ্চ শিক্ষিত হয়ে চিকিৎসক বা শিক্ষিকা হওয়া মহিলাদের কাজ। ভাল ঘরের মেয়েদের পুলিশ বা আদালতের কাজে যোগ দেওয়া উচিত নয়।” এই কথা খুব দাগ কেটেছিল মণীষার মনে। তখন থেকেই চিকিৎসক বা শিক্ষিকা হওয়ার বাইরে কিছু করার কথা ভাবতেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশের কাজে যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেছেন, “মহিলারা সমাজে সবচেয়ে উপেক্ষিত। সমাজে তাঁদেরকেই বেশি নিশানা বানানো হয়। আমি পুলিশে যোগ দিয়েছি কারণ, সমাজে মহিলাদের ‘রক্ষক’ দরকার।”

জোকোবাবাদের মধ্যবিত্ত পরিবারেই বেড়ে ওঠা মণীষার। বর্তমানে তাঁর প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণ শেষ হলে অপরাধ-অধ্যুষিত লায়রি এলাকায় পোস্টং হবে তাঁর। পুলিশের উচ্চপদে আসীন হলে মহিলাদের সুবিধা হবে বলে মনে করেন তিনি। পাকিস্তান পুলিশের মধ্যে আগামী দিনে মহিলার সংখ্যা বাড়বে বলেও আশাবাদী তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “আমি পুলিশ বিভাগের অন্দরে নারীবাদী ভাবনার প্রচার চালাতে চাই। ছোট থেকেই পুলিশের কাজ আমাকে খুব আকর্ষণ করত।” তাঁর অন্যান্য দিদি এবং বোনেরা চিকিৎসক বা মেডিক্যালের ছাত্রী বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও এমবিবিএস প্রবেশিকা পরীক্ষায় এক নম্বরের জন্য পাশ করতে পারেননি তিনি। তখনই সিন্ধ প্রদেশের পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন তিনি। সেই পরীক্ষায় ৪৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ তম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৩ বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়েছিলেন মণীষা। তার পর মা-ই মানুষ করেন তাঁদের। মা তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে জাকোবাবাদ থেকে করাচি এসে থাকতে বলেও জানিয়েছেন তিনি।