Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Israel Hamas War: ১৫ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু, খোঁজ নেই ২১ হাজারের, অনাথ ১৭ হাজার! ‘মুক্ত’ ধরাধামে গাজা যেন একটুকরো জ্বলন্ত নরক

Israel Hamas War: গাজার একটা ছোট্ট অংশ রাফা। যেখানে গাদাগাদি করে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুরুষ-মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ সবাই একসঙ্গে। সেখানেও টার্গেট করা শুরু করেছে ইজরায়েল। কী হবে ভবিষ্যতে? থামবে যুদ্ধে?

Follow Us:
| Updated on: Jul 13, 2024 | 8:56 PM

কলকাতা: চলছে তো চলছেই। থামার কোনও নাম নেই। আকাশে মেঘের আনাগোনা নেই। পাখিদের ডানা মেলে উড়ে যাওয়া নেই। আছে শুধু রকেট, মিসাইল, বোমারু বিমানের হানা। নীল আকাশ থেকে থেকেই ধূসর ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মধ্যেই আসছে শব্দ। তারপর কান্না, রক্ত, নিথর দেহ। নীরবতা ভাঙে অ্যাম্বুল্যান্সের শব্দে। আবার মিলিয়ে যায় শূন্যতায়। এটা গাজা। গত বছর অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে, তারপর ধ্বংসস্তুপের পরিমাণ বেড়েই চেলেছে। এই তো দুদিন আগের কথা, গাজায় রাষ্ট্রসংঘের স্কুলে ইজরায়েলি হামলা। প্রাণ হারালেন অন্তত ১৬ জন।  ইজরায়েলের হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে রাষ্ট্রসংঘের স্কুলগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন গাজার বহু মানুষ। এখন সেই স্কুলগুলিকেই নাকি টার্গেট করতে শুরু করেছে ইজরায়েল। গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে, গাজার ৯০% মানুষ ঘর ছাড়া বলে জানা যাচ্ছে। সংখ্যাটা প্রায় ১৯ লক্ষ। ২১ হাজারের বেশি শিশু নিখোঁজ। মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। ইজরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা গাজা উপত্যকা। এই ধ্বংসস্তূপ সরাতে লাগতে পারে কমপক্ষে ১৪ বছর, এমনটাই দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের। ইজরায়েল ও হামাস যুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে শহরে। এমন অবস্থা শহরটার। 

গাজার একটা ছোট্ট অংশ রাফা। যেখানে গাদাগাদি করে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুরুষ-মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ সবাই একসঙ্গে। সেখানেও টার্গেট করা শুরু করেছে ইজরায়েল। কী হবে ভবিষ্যতে? থামবে যুদ্ধে? নাকি একটা দেশে পুরোপুরি ধ্বংস হওয়ার আগে থামবে না এই বোমা-বারুদের খেলা? কবি বলেছিলেন এ বিশ্বকে এ শিশুর বাস যোগ্য করে যাব আমি। কিন্তু গাজার শিশুরা কী আদৌ আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে? 

বাংলায় একটা কথা আছে, রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়। এই যুদ্ধেও সেটাই হচ্ছে। যে সাধারণ মানুষগুলো প্রাণ হারাচ্ছেন তাদের কী কোনও দোষ ছিল? উত্তরটা খুব সহজ, না। হামাস ও ইজরায়েলের এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে সব থেকে করুণ অবস্থা কাদের জানেন? বাচ্চাদের। যাদের বোঝার ক্ষমতা হয়নি যুদ্ধ কি? কিন্তু যুদ্ধের পরণতি ভোগ করতে হচ্ছে সেই ছোট ছোট মুখগুলোকে। WHO মহা সচিব টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাসের দেওয়া তথ্য বলছে, গাজায় প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে ৯ জন অপুষ্টির শিকার।

প্রতিদিন দুই বা তার কম প্রকারের খাদ্য পাচ্ছে তারা। অপুষ্টির জন্য এই কয়েক দিনে ৩২টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ২৮ শিশুই পাঁচ বছরের কম বয়সী। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অনাথ হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি শিশু।