Bangladesh: বঙ্গোপসাগর নিয়ে ফের সরব ইউনূস, দেশের মানুষকে বোঝালেন ‘অধিকার’
Bangladesh: অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি হওয়া পর থেকে 'অর্থনীতি-মনস্ক' ইউনূস জোর দিয়েছেন বঙ্গোপসাগরের বাণিজ্যে। সেই সক্রিয়তার তোড়েই তিনি যোগাযোগ করেছিলেন চিনের সঙ্গে। বলা চলে যা থেকে বিতর্কের সূত্রপাত।

ঢাকা: “বঙ্গোপসাগরের একটা অংশও আমাদের দেশ…”, জুলাই বর্ষপূর্তির দিনে আবার সেই পুরনো বঙ্গোপসাগর ইস্যুকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে বঙ্গোপসাগরের একটা অংশও আমাদের দেশ। যার আকার, আমাদের দেশের মোট জমির পরিমাণের থেকে অনেক বেশি। কিন্তু তারপরেও আমরা সর্বদা দেশের ভূস্থলকেই ব্যবসার কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি। বঙ্গোপসাগরের ওই অংশকে গুরুত্ব দেওয়াই হয় না।”
কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে কেন বঙ্গোপসাগর ইস্যুতে জোর দিচ্ছেন ইউনূস? অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি হওয়া পর থেকে ‘অর্থনীতি-মনস্ক’ ইউনূস জোর দিয়েছেন বঙ্গোপসাগরের বাণিজ্যে। সেই সক্রিয়তার তোড়েই তিনি যোগাযোগ করেছিলেন চিনের সঙ্গে। বলা চলে যা থেকে বিতর্কের সূত্রপাত।
চিন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘বদ্ধভূমি’ বলে নিজেদের ‘বঙ্গোপসাগরের অভিভাবক’ তকমা দেন প্রধান উপদেষ্টা। আর তাতেই চড়ে বিতর্ক। ইউনূসকে ঘিরে রীতিমতো ক্ষোভ তৈরি হয় বিশ্ব রাজনীতিতে। অবশ্য সেই ক্ষোভের পাল্টা বাংলাদেশের তরফে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এরপর কয়েক মাস কাটতেই ইউনূসের মুখে শোনা গেল বঙ্গোপসাগরের কথা। তবে এবার সুর অনেকটাই নরম।
এদিন তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে মজবুত করতে গেলে ভাবনা-চিন্তায় কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। আমি বরাবরই বলে এসেছি, এ দেশের নদী ও সমুদ্র বিশাল সম্পদ। আর এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সমান্তরালভাবে অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে।”

