Nepal PM: ‘৫০০০ মানুষ হত্যার দায় নিচ্ছি আমি’, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নেপালি প্রধানমন্ত্রীর

Nepal PM Prachanda: দেশের ৫০০০ মানুষের মৃত্যুর জন্য তিনিই দায়ী বলে জানালেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। উঠল তাঁর গ্রেফতারি দাবি।

Nepal PM: '৫০০০ মানুষ হত্যার দায় নিচ্ছি আমি', বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নেপালি প্রধানমন্ত্রীর
দেশের ৫০০০ মানুষের হত্যার জন্য দায়ী তিনি, নিজেই জানালেন প্রচণ্ড (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2023 | 4:29 PM

কাঠমাণ্ডু: দেশের ৫০০০ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী তিনি! বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের। আর তারপরই, তাঁর গ্রেফতারি চেয়ে লিখিত আবেদন জমা পড়ল নেপালি সুপ্রিম কোর্টে। জ্ঞানেন্দ্র অরন ও কল্যাণ বুধাথোকি নামে দুজন বিশিষ্ট নেপালি আইনজীবী এবং আরও বেশ কয়েকজন মিলে যৌথভাবে এই আবেদন করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই মাওবাদী বিদ্রোহে কোনও না কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। মাওবাদী বিদ্রোহ চলাকালীন ৫০০০ মানুষের হত্যার দায় স্বীকার করার প্রেক্ষিতে প্রচণ্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং তদন্তের ফল অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন তাঁরা। শুক্রবার, এই আবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি শুনানির জন্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন নেপালি বিচারপতি ঈশ্বর খাতিওয়াড়া এবং হরিকৃষ্ণ ফুয়াল।

কাঠমাণ্ডুতে আয়োজিত মাঘি উৎসবে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, ৫০০০ জনের হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন পুষ্প কমল দহল। তিনি বলেছিলেন, “আমার বিরুদ্ধে ১৭,০০০ মানুষকে হত্যার অভিযোগ করা হয়। এটা সত্যি নয়। তবে আমি বিদ্রোহের সময় ৫০০০ মানুষকে হত্যার দায় নিতে প্রস্তুত।” তিনি আরও দাবি করেছেন, বাকি ১২,০০০ জনকে হত্যা করেছিল রাজতান্ত্রিক শাসন। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল প্রচণ্ডর নেতৃত্বাধীন মাওবাদী সেন্টার। এক দশক পর, ২০০৬ সালের ২১ নভেম্বর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে বিদ্রোহের পথ থেকে সরে আসেন প্রচণ্ড। ১০ বছরে এই বিদ্রোহের শিকার হয়েছিলেন প্রায় ১৭,০০০ মানুষ।

এদিকে, চলতি সপ্তাহেই মাওবাদী নেতারা এক বৈঠকে শান্তি চুক্তির বিরুদ্ধে যে কোনও রকম কার্যকলাপের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৈঠকের পর দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শান্তি চুক্তির চেতনার পরিপন্থী যে কোনও কার্যকলাপের বিরোধিতা ও প্রতিরোধ করা হবে। সত্য কমিশন এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায়বিচার সম্পর্কিত সমস্ত প্রক্রিয়া দ্রুত এবং কার্যকরভাবে শেষ করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে মাওবাদীরা, সেগুলির বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগোনোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে।