AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ইন্টারনেট না থাকলে দিতে হবে না টাকা!

Bangladesh: সরকারি সংস্থার জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ যদি এক দিন বন্ধ থাকে তবে সেই গ্রাহকের থেকে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মোট বিলের ৫০ শতাংশের বেশি নিতে পারবে না। টানা দুদিন বন্ধ থাকলে ২৫ শতাংশ টাকা দেবেন গ্রাহক। আর যদি ইন্টারনেট পরিষেবা টানা তিনদিন বন্ধ থাকে তবে গ্রাহককে কোনও টাকাই দিতে হবেনা

ইন্টারনেট না থাকলে দিতে হবে না টাকা!
ছবি প্রতীকী।
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 7:23 PM
Share

ঢাকা: আজকাল ইন্টারনেট (Internet) সংযোগ ছাড়া দিন কাটানো ভাবাই যায় না। করোনা ভাইরাসের আগমনের পর থেকেই ইন্টারনেট নির্ভরতা বেড়েছে বই কমেনি। পড়াশুনা থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, খাবর অর্ডার করা, অনলাইন কেনাকাটা (Online shopping) থেকে শুরু করে গৃহস্থলির নানা সরঞ্জাম আনানো চটজলদি সব কিছুতেই শেষ ভরসা ইন্টারনেট। কিন্তু মাঝে মাঝেই ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থার (Internet serrvice provider) পরিষেবা প্রদানে গাফিলতি করার কারণে সমস্যায় পড়েন নেটিজেনরা। এবার নাগরিকদের সেই সমস্যার সমাধানে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। দেশের টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে এখন থেকে একটানা তিনদিন ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হলে, নেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা গ্রাহকের কাছ থেকে কোনও চার্জ নিতে পারবে না।

বিআরটিসির (BRTC) পক্ষ থেকে সেদেশের সব ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার পিছনে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। বিআরটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকেই ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

সরকারি সংস্থার জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ যদি এক দিন বন্ধ থাকে তবে সেই গ্রাহকের থেকে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মোট বিলের ৫০ শতাংশের বেশি নিতে পারবে না। টানা দুদিন বন্ধ থাকলে ২৫ শতাংশ টাকা দেবেন গ্রাহক। আর যদি ইন্টারনেট পরিষেবা টানা তিনদিন বন্ধ থাকে তবে গ্রাহককে কোনও টাকাই দিতে হবেনা।

গত জুন মাসে বাংলাদেশে ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় ইন্টারনেটের তিনটি প্যাকেজের কথা ঘোষণা করা হয়। যথাক্রমে ৫০০ টাকা (৫ এমবিপিএস), ৮০০ টাকা (১০ এমবিপিএস) ও ১,২০০ টাকা (২০ এমবিপিএস) এই তিনটি প্যাকেজের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। নির্দেশিকায় বিআরটিসি জানিয়েছে, প্যাকেজের দামের ক্ষেত্রে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা বদল আনতে পারবে, তবে ইন্টারনেটের ন্যূনতম স্পিড ৫ এমবিপিএসের (5 mbps) কম রাখা দেওয়া যাবে না। এবং নতুন প্যাকেজের জন্য আগে বিআরটিসির অনুমোদন নিতে হবে।

নির্দেশিকায় বিআরটিসি আরও বলেছে, পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের অভিযোগ দ্রুত সমাধান করতে হবে এবং গ্রাহকের অভিযোগের যাবতীয় তথ্যের খতিয়ান কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য সংরক্ষণ করে রাখত হবে। অগস্ট মাস অবধি এই সরকারি সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৫০ হাজার এবং এই করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ জানিয়েছে এই নয়া নির্দেশিকা নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই।

আরও পড়ুন Earthquake: চোখে তখনও ঘুমের রেশ, রাস্তায় ঠাঁই নিলেন কয়েক হাজার মানুষ! ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত কমপক্ষে ১৫