AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

North Korea: লুকিয়ে লুকিয়ে দেখত কে-ড্রামা, প্রতিবেশীদের সামনেই ‘শূলে চড়ানো’ হল দুই কিশোরকে!

North Korea Crime: সম্প্রতিই উত্তর কোরিয়া সরকার জানতে পারে, ওই দুই কিশোর লুকিয়ে লুকিয়ে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সিনেমা ও নাটক, যা কে-ড্রামা নামে পরিচিত, তা দেখত।

North Korea: লুকিয়ে লুকিয়ে দেখত কে-ড্রামা, প্রতিবেশীদের সামনেই 'শূলে চড়ানো' হল দুই কিশোরকে!
কে-ড্রামার দৃশ্য়।
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2022 | 9:57 AM
Share

প্য়াংগ্যাং: উত্তর কেরিয়ার কড়া নিয়ম সম্পর্কে প্রায় সকলেই অবগত। চুলের ছাঁট থেকে পেশা, জীবনসঙ্গী বাছা, কোনও কিছুরই অধিকার নেই সে দেশের মানুষের। ফের একবার উত্তর কোরিয়ার কঠোর নিয়ম ও তার চরম শাস্তিই প্রকাশ্যে এল। দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা দেখার অপরাধে দুই স্কুল পড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’-র প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই দুই কিশোর দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার সিনেমা দেখেছিল। সেই অপরাধেই তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার সমস্ত সামগ্রীই নিষিদ্ধ।

দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের বয়স ১৬ ও ১৭ বছর। তারা উত্তর কোরিয়ার রায়াংগ্যাং প্রদেশের একটি স্কুলে পড়ত। সম্প্রতিই উত্তর কোরিয়া সরকার জানতে পারে, ওই দুই কিশোর লুকিয়ে লুকিয়ে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সিনেমা ও নাটক, যা কে-ড্রামা নামে পরিচিত, তা দেখত। নিষিদ্ধ এই শো-গুলি দেখার অপরাধেই দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, গত অক্টোবরে শহরের মাঝে এয়ারফিল্ডে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনেই দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। গত সপ্তাহেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। উত্তর কোরিয়া সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুই কিশোর ‘শয়তান’। তাদের অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি হিসাবেই মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি না করে, তার জন্য় তাদের সামনেই ওই দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে উত্তর কোরিয়া সরকার প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি শো, সিনেমার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দেশবাসীর উপরে বিদেশি তথ্য ও প্রভাব যাতে না পড়ে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল। তবুও লুকিয়ে লুকিয়ে ফ্ল্যাশড্রাইভে দক্ষিণ কোরিয়ার শো আনা হয় এবং তা চড়া দামে বিক্রি করা হয়। যদি কেউ দক্ষিণ কোরিয়ার শো দেখতে গিয়ে ধরা পড়েন, তবে জরিমানা, কারাবাস, এমনকী মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়।

গত বছর উত্তর কোরিয়ার প্রশাসক তথা কিম জং উনের বাবা কিং জং দ্বিতীয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে ১১ দিনের শোকদিবস পালন করা হয়েছিল। ওই সময়ে দেশের সাধারণ নাগরিকের কোনওকিছু কেনাকাটা, মদ্য়পান, এমনকী হাসাও নিষিদ্ধ ছিল। নিয়ম ভাঙলেই কড়া শাস্তির নিদান দেওয়া হয়েছিল।