বেজিং: আমেরিকা থেকে উত্তর কোরিয়ার দূরত্ব নেহাতই কম নয়। প্রশান্ত মহাসাগরের দুই প্রান্তে দুই দেশ। কিন্তু উত্তর কোরিয়া থেকে ছোড়া ব্যালেস্টিক মিসাইল ৩৩ মিনিটের মধ্যে আঘাত আনতে পারে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে। এ রমকই তথ্য উঠে এল চিনের এক সমীক্ষায়। নিউক্লিয়ার নেটওয়ার্ক বিশ্লেষক তিয়ানরান জু সিএনএন-কে উত্তর কোরিয়ার কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম মিসাইলের ব্যাপারে এই তথ্য জানিয়েছেন। এক সমীক্ষায় তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যর্থ হলে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল আমেরিকার পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তেও আঘাত হানতে সক্ষম। চিনের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, চিনের এই সমীক্ষা করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ওয়াসং-১৫ মিসাইলের উপর ভিত্তি করে। এই মিসাইল পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম।
পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম পিয়ংইয়ংয়ের এই মিসাইলের পাল্লা প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার। এবং তা গোটা আমেরিকায় হামলা করতে সক্ষম। বেজিং ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিস্ক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং এই মিসাইলের স্টিমুলেটেড পরীক্ষা চালিয়েছে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে এই রিপোর্ট। সেই রিসার্চে দেখা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার মধ্যভাগ থেকে যদি এই মিসাইল ছোড়ার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে আমেরিকার মিসাইলস হেডকোর্য়ার্টারে এ বিষয়ে অ্যালার্ট পৌঁছে যাবে। এবং এর পর আমেরিকার মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থা কাজ শুরু করবে বলে দাবি করা হয়েছে চিনা সমীক্ষায়। সেখানে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া মিসাইল হানা ব্যর্থ করতে আলাস্কার ফোর্ট গ্রিলি থেক ১১ মিনিটের মধ্যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ শুরু করবে। তা ব্যর্থ হলে ক্যালিফোর্নিয়ার ভানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে প্রতিরোধ হবে।
কিন্তু চিনের রিসার্চ বলছে, অতীতে আমেরিকার মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থা কার্যকর হয়নি। পরীক্ষার সময় সেই ব্যবস্থাকে ব্যর্থ হতে দেখা গিয়েছে। চিনের দাবি, আমেরিকার গ্রাউন্ড বেস মিডকোর্স ডিফেন্স (জিএমডি) সাফল্যের হার ৫৫ শতাংশ। তা যগি মিসাইল রুখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ৩৩ মিনিটেই হামলা চালিয়ে ফেলবে কিম জন উনের দেশের তৈরি মিসাইল।