Pakistan Army Mass Resignation: ‘দিনের দিন টাকা মেটাতে হবে…’, দিনমজুরের মতো সেনায় জওয়ান নিয়োগ করছে পাকিস্তান
Pakistan Army Mass Resignation: সেনারই এই ঘাটতি মেটাতেই লেফেটেন্ট জেনারেল ওমর বোখারিকে নতুন নিয়োগের নির্দেশ ট্রাইবাল ফাইটার নিয়োগ শীর্ষকে একটি চিঠি পাঠালেন ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস কাশিফ আবদুল্লাহ। তবে এই নিয়োগ কিন্তু স্বাভাবিকের থেকে একটু আলাদা।

ইসলামাবাদ: এবার দিন ১০০ দিনের কাজের মতো জওয়ান নিয়োগ করবে পাকিস্তান? তাদের অবস্থা দেখে এমনই মন্তব্য করছে একাংশ। রবিবারই ফাঁস হয়েছিল পাকিস্তান সেনা প্রধানকে পাঠানো একটি গোপন চিঠি। যেখানে সেনার হাত খরচ থেকে খাদ্য। এমনকি, অস্ত্র ভাণ্ডারেও ঘাটতি রয়েছে বলে সেনা প্রধানকে সেই চিঠিতে জানিয়েছিলেন এক সেনাকর্তা।
এবার বেলা বাড়তেই ফাঁস আরও এক চিঠি। দিন কতক আগেই পরপর ইস্তফা দিয়েছিল পাকিস্তানের ১২০০ রেঞ্জার্স। যার জেরে দিশেহারা দশা সেদেশের সেনাবাহিনীর অন্দরে। যে ভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে যাচ্ছে, হৃতে বিপরীত হলে, কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে তাই ঠাওর করে উঠতে পারছে না তারা।
সেনারই এই ঘাটতি মেটাতেই লেফেটেন্ট জেনারেল ওমর বোখারিকে নতুন নিয়োগের নির্দেশ ট্রাইবাল ফাইটার নিয়োগ শীর্ষকে একটি চিঠি পাঠালেন ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস কাশিফ আবদুল্লাহ। তবে এই নিয়োগ কিন্তু স্বাভাবিকের থেকে একটু আলাদা। সেই চিঠিতে DGMO লেখেন, নতুন নিয়োগে আনা যুবকদের দিন প্রতি একটা হাত খরচ হবে। প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিন মিটিয়ে দিলে জওয়ানরাও উদ্যমী হবেন। একে জওয়ান পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কাজ করতে চাইছে না। তাই দ্রুত এলাকার যুবকদের সেনার কাজে ঢুকিয়ে দেওয়া হোক। টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে এলাকার আদিবাসী যুবকদের যদি নিয়োগ না করা হয়, তা হলে যুদ্ধ বেঁধে গেলে সামাল দিতে পারা যাবে না।
আদিবাসী নিয়োগেই কেন এত জোর?
ভারতীয় সীমান্তের পাখতুনখাওয়া সহ পার্বত্য অংশের সীমান্তের দায়িত্বে থাকা একাধিক ফ্রন্টিয়ার থেকে একাধিক সেনা জওয়ান ইস্তফা দিয়েছে। সেই কারণেই এবার ওই স্থানীয় অঞ্চল থেকে লোক টানতে চাইছে তারা। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই নিয়োগ আসলে চুক্তিভিত্তিক। কোনও স্থায়ীপত্র পাওয়া যাবে না। একেবারে মুজাহিদীন নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই তাদের নিয়োগ হবে।

