AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pakistan: পাকিস্তানিরা কি চা খাবে না? এক কাপের দাম কত জানেন?

Pakistan Tea crisis: ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। থালা থেকে রুটি গায়েব হয়ে যাওয়ার পর, এখন তাদের কাপ থেকে হাওয়া হয়ে যেতে শুরু করেছে চা।

Pakistan: পাকিস্তানিরা কি চা খাবে না? এক কাপের দাম কত জানেন?
পাকিস্তানিরা কি চা খাবে না? খাবে না পাকিস্তানিরা চা?
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2023 | 7:48 PM
Share

ইসলামাবাদ: ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি টাকার দাম পড়তে পড়তে এখন ডলার প্রতি ২৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার ১৯৯৮ সালের পর থেকে বর্তমানে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। মূল্যবৃদ্ধির চাপে শিড়দাঁড়া ভেঙে যাওয়ার দশা সাধারণ মানুষের। আটা, ডাল, চাল, দুধ – সবেরই দাম এখন আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে আরও এক বড় ধাক্কা এসেছে আম পাকিস্তানিদের জন্য। থালা থেকে রুটি গায়েব হয়ে যাওয়ার পর, এখন তাদের কাপ থেকে হাওয়া হয়ে যেতে শুরু করেছে চা। রকেটের গতিতে দাম বাড়ছে এই জনপ্রিয় পানীয়। পাক বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার পর, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অভিনন্দন বর্তমানকে চা খাওয়ানো হয়েছিল। সেই চায়ের প্রশংসা করেছিলেন ভারতীয় সেনা অফিসার। কিন্তু,  গত ১৫ দিনে পাকিস্তানে চায়ের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে ওই ঘটনা এখন হলে অভিনন্দন বর্তমানকে আদৌ চা খাওয়াতে পারত কিনা পাক বাহিনী তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সাধারণ পাকিস্তানি জনতা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, ‘আমরা কি চা খাব না? খাব না আমরা চা?’

কিছুদিন আগেও পাকিস্তানে যে মানের চা বিক্রি হত প্রতি কেজি ১১০০ টাকায়, সেই চায়ের দামই এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে কেজি প্রতি ১৬০০ টাকায়। স্থানীয় দোকানদারা জানিয়েছেন, ১৭০ গ্রামের গুঁড়ো চা এবং এলাচ দেওয়া চায়ের প্যাকেটের দাম ২৯০ টাকা এবং থেকে বেড়ে যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৩৫০ টাকা হয়ে গিয়েছে। ৪২০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭২০ টাকা এবং এবং ৯০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেটের দাম ১,৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১,৪৮০ টাকা হয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়-এর চা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির আহ্বায়ক জিশান মাকসুদ বলেছেন, “দেশে চায়ের সংকট ক্রমে বাড়ছে। পরের মাসে অর্থাৎ মার্চে এই ক্ষেত্রে বিশাল ঘাটতি দেখা যাবে। আমদানি বন্ধ থাকাতেই এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। আসন্ন রমজান মাসে ১০০০ টাকা প্রতি কেজি চায়ের দাম বেড়ে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে!

ইসলামাবাদের রাস্তায়, বর্তমানে এক কাপ চা ২০ টাকা থেকে ২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আগামী কয়েকদিনে আরও অন্তত ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়বে প্রতি কাপ চায়ের, এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোষাগার ফাঁকা থাকায় বিদেশ থেকে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর মতো চা-ও আমদানি করতে পারছে না শাহবাজ শরিফ সরকার। এই কারণেই সেই দেশে এখন মূল্যবৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে, এক এক করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সামনেই রমজান মাস। সেই সময় এই সংকট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।