Pakistan: রাষ্ট্রপুঞ্জে দাঁড়িয়ে লস্করদের হয়েই ‘গাইল’ পাকিস্তান? বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক
Pakistan: TRF-এর নাম উল্লেখ করতেই গা জ্বলেছে পাকিস্তানের। কিন্তু কেন? মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশক দার বলেন, 'পাকিস্তানের তরফ থেকে জাতিসংঘে আমার দুটোই বক্তব্য ছিল।

নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছিল কারা? বিবৃতি প্রকাশ করে দায়স্বীকার করেছিল লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন TRF বা দ্যা রেজিস্ট্যান্স ফ্রোন্ট। সেই ভিত্তিতে পরবর্তীতে ভারত-সহ বিশ্বের নানা দেশ, এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদেও পহেলগাঁও হামলা নিয়ে দেওয়া প্রেস বিবৃতি তুলে ধরা হয় সেই কুখ্য়াত TRF-এর নাম। কিন্তু এবার তাতেও সমস্যা পাকিস্তানের।
উল্লেখ্য, TRF-এর নাম উল্লেখ করতেই গা জ্বলেছে পাকিস্তানের। কিন্তু কেন? মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশক দার বলেন, ‘পাকিস্তানের তরফ থেকে জাতিসংঘে আমার দুটোই বক্তব্য ছিল। এক ওদের জারি করা বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ের নাম ছিল। দ্বিতীয়, ওই হামলায় দোষ চাপানো হয়েছিল রেজিস্ট্যান ফোরামের উপর (TRF)।’
বলে রাখা ভাল, পাকিস্তানের সংসদে দেওয়া বিদেশমন্ত্রীর ভাষণে বদলে গেল দ্যা রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের নাম। লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন নিজেদের যে নাম উল্লেখ করে পহেলগাঁও হামলার দায়স্বীকার করেছিল। সেই নাম কিন্তু শোনা গেল না পাক বিদেশমন্ত্রী ইশক দারের মুখে। উল্টে তিনি ক্রমাগত রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে, একটি ফোরাম বলেই সম্বোধন করেন।
এদিন তাঁর সংযোজন, ‘এটা সেই ফোরাম যা কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর তৈরি হয়। যা তৈরি হয়েছিল কাশ্মীরেরই কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বারা। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশগুলি তাদের ক্রমাগত দোষী সাব্যস্ত করতে ব্যস্ত হয়েছিল। যার বিরোধীতা করেছে পাকিস্তান।’ বিদেশমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘আমি পরিষদের সদস্যদের বলি, আমাদেরকে যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণ দিক, যে রেজিস্ট্যান্স ফোরামই এটা করেছে। মোট আড়াই দিনের কূটনৈতিক সংঘর্ষ চালাই আমরা। অবশেষে তাদের নাম সরাই সেই বিবৃতি থেকে।’
এরপরেই পহেলগাঁও হামলা নিয়ে যে চূড়ান্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে সেখানে বাদ দেওয়া হয় পহেলগাঁওয়ের নাম। যুক্ত হয় ‘জম্মু-কাশ্মীরে হামলা’ প্রসঙ্গ। এছাড়াও বিবৃতি থেকে তুলে দেওয়া হয় TRF-এর নামও।

