ইসলামাবাদ: গত মাসের ২৮ তারিখ পাকিস্তান জাতীয় সংসদে সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। মনে করা হয়েছিল, অনাস্থা ভোটে ইমরানকে হারিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। সেই মত পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে ৩ এপ্রলি অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখানেই বিরোধীদের প্ল্যান ভেস্তে দেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁর প্রস্তাবে সমর্থন করে অনাস্থা ভোট খারিজ করে দিয়েছিলেন সংসদের স্পিকার। সেই সময়ই জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ইমরান। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে তদারকি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার জন্য ইমরান খান ও বিরোধী দলনেতা শাহাবাজ শরিফকে চিঠি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি। অনাস্থা ভোট খারিজের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল বিরোধীরা। সেখানে মামলাও করা হয়েছিল। তবে বুধবার পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আপাতত অনাস্থা ভোট নিয়ে শুনানি স্থগিত করে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার আরও একবার মামলার শুনানি হবে।
প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। রবিবার থেকেই পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি চলছিল। এখন বৃহস্পতিবার আদালত কী বলে সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। অন্যদিকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি নির্বাচন কমিশনের কাছে পরবর্তী নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে নিজেদের সুপারিশের কথা জানাতে বলেছে। নির্বাচন কমিশনারকে লেখা চিঠিতে আলভি জানিয়েছেন, যেদিন পাক সংসদ ভেঙে গিয়েছে, সেই দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। উল্লেখ্য রাষ্ট্রপতি আলভির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদকে পরবর্তী কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন ইমরান খান। বিরোদী দলনেতা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেননি। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ভবিতব্য কী লেখা আছে তার উত্তর দেবে সময়।
আরও পড়ুন IIT student attacks Police: যোগী গড়ে কাটারি নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে গেল আইআইটি স্নাতক! দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন Bangladesh News: বিয়ের ১০ বছর পরও হয়নি সন্তান, তার পরে হঠাৎ বদলে গেল দম্পতির ভাগ্য!