ইসলামাবাদ: বারবারই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এবারও তাই ধূসর তালিকাতেই রয়ে যেতে হল পাকিস্তানকে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (FATF)-এর প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ার জানিয়েছেন আপাতত ধূসর তালিকা (Grey List) থেকে মুক্তি পাচ্ছে না পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে ফের বৈঠকে বসবে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। ততদিন পর্যন্ত এই তালিকাতেই থাকবে পাকিস্তান।
মূলত আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি পাকিস্তানকে। পাশাপাশি সন্ত্রাস দমনেও ব্যর্থ ইসলামাবাদ। এফএটিএফের তরফে যে সব শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তাও পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান। তাই এই তালিকায় পাকিস্তানের জায়গা বহাল থাকছে।
২০১৮ সালে সন্ত্রাসদমনে মোট ২৭টি শর্তপূরণ করতে বলা হয়েছিল পাকিস্তানকে। তার সবকটি পূরণ করা সম্ভব হয়নি, তাই ধূসর তালিকাতেই থাকতে হবে তাদের। ২০১৮ সালের জুন মাসে পাকিস্তানকে বলা হয়েছিল যাতে ২০১৯ শেষ হওয়ার আগে দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত ও তাদের আর্থিক জোগান বন্ধ করতে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৯ শেষ হতে হতে কোভিডের অতিমারি থাবা বসানোর পর পাকিস্তানকে দেওয়া সময়সীমার মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: উপসর্গবিহীন আক্রান্তদের নজরে রাখছে পুরসভা, প্রস্তুত করা হচ্ছে সব কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
সম্প্রতি ভার্চুয়াল মাধ্যমে নতুন করে আলোচনা শুরু হলেও, সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তানের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি সংস্থার কর্তারা। তাই আগামী দিনেও যে পাকিস্তানের ওপর বাড়তি নজরদারি থাকবে, সে কথাও এ দিন বলেছেন মার্কাস প্লেয়ার।
সম্প্রতি ভারতকে নিশানা করে ফের জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়িয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে তেমনই প্রমাণ। গত কয়েকদিনে যে ছবি ধরা পড়েছে তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সাধারণত সেনাবাহিনীই হয়ে থাকে জঙ্গিদের মূল টার্গেট। ভারতের নিরাপত্তা ঘেরাটোপ ভেঙে অনুপ্রবেশ করাই পাক জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু গত কয়েকদিনে দেখা গিয়েছে অন্য ছবি। খুন হতে হল একের পর এক নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে। মনে করা হচ্ছে উপত্যকাকে নতুন করে অশান্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান। আর তাদের সেই পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হচ্ছে নতুন অস্ত্র, যার নাম হরকত ৩১৩।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর গত ২১ সেপ্টেম্বর পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর একটি বৈঠক হয়েছে মুজফফরাবাদে। ভারতীয় গোয়ান্দাদের হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে, আইএসআই -এর অফিসারদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গোপনে বৈঠক হয়েছে সে দিন। সেই বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে যাতে উপত্যকায় এক সঙ্গে বহু মানুষকে হত্যা করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: মাদককাণ্ডে দৃঢ় হচ্ছে বলিউডি-যোগ! আরও ২ অভিনেতা এনসিবির নজরে: সূত্র