China: ‘ভয়ঙ্কর’ চিনের জন্য দুনিয়ার গরিব দেশগুলির কপাল খুলছে? হঠাৎ কী হল?

China: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ইউরোপের নানা দেশে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে তেলের চাহিদা গিয়েছে কমে। আর সারা দুনিয়ায় অশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা যে চিন। সেই চিনেও নেমে এসেছে মন্দার গ্রাস।

China: ‘ভয়ঙ্কর’ চিনের জন্য দুনিয়ার গরিব দেশগুলির কপাল খুলছে? হঠাৎ কী হল?
হঠাৎ কী হল? Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Sep 13, 2024 | 12:12 AM

হরিয়ানা আর জম্মু-কাশ্মীরের ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে। বছরের শেষদিকে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডেও ভোট হওয়ার কথা। এরইমধ্যে জল্পনা পেট্রোল-ডিজেলের দাম এবার একটু কমতে পারে। এই জল্পনাকেই আরও উস্কে দিয়েছে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম। ক্রুড অয়েলের দাম এই মুহূর্তে গত ৩ বছরের তুলনায় সবচেয়ে নীচে নেমে এসেছে। দাম পড়ে গেছে ব্যারেলে ৭০ ডলারের নীচে। অশোধিত তেলের অনেকটাই আগে থেকে ঠিক করে রাখা দামে পরে কেনাবেচা হয়। যাকে বলা হয় ফরওয়ার্ড মার্কেট ট্রেডিং। তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী কয়েকমাসে তেলের চাহিদা কমতে চলেছে। যার ফলে, স্পট মার্কেট ও ফরওয়ার্ড মার্কেট। দুই ক্ষেত্রেই ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে। 

এখন ওপেক যদি উত্‍পাদন না কমায় তাহলে আগামী বেশ কিছুদিন অশোধিত তেলের দাম কমের দিকেই থাকবে। ফলে, ঘরোয়া বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর একটা সুবর্ণ সুযোগ এই মুহূর্তে সরকারের হাতে এসেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। লোকসভা ভোটের আগে পেট্রল-ডিজেলের দাম লিটারে মাত্র ২ টাকা কমানো হয়। জিনিসপত্রের দাম কমানো প্রায়োরিটি হলে পেট্রোপণ্যর মূল্য আরও কমানো দরকার বলে তাঁদের অনেকেরই মত। কিন্তু বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এতটা কমে গেল কেন? 

সারা বিশ্বে সিংহভাগ তেলের জোগান দেয় Organization of the Petroleum Exporting Countries বা OPEC. ওপেকে আছে ১২টা দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সৌদি আরব। ইরাক। ইরান। কুয়েত। লিবিয়া। ভেনেজুয়েলা। আলজিরিয়া। নাইজেরিয়া। কঙ্গো। গ্যাবন এবং ইকুয়েটোরিয়াল গায়না। গত কয়েকমাসে এই সবকটা দেশেরই অশোধিত তেল রফতানির পরিমাণ কমেছে। এরইমধ্যে পশ্চিম এশিয়া উত্তপ্ত। গাজা, লেবানন, ইয়েমেন। একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ চলছে। সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও চলছে। তাহলে এ সময়ে তো তেলের দাম বাড়ার কথা। যেমনটা বরাবর হয়ে এসেছে। কিন্তু এবার হয়েছে উল্টো।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ইউরোপের নানা দেশে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে তেলের চাহিদা গিয়েছে কমে। আর সারা দুনিয়ায় অশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা যে চিন। সেই চিনেও নেমে এসেছে মন্দার গ্রাস। এখন কমেছে তো বটেই। আগামীদিনে চিনে তেলের চাহিদা আরও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। চিনা সংস্থাগুলি তাই ভবিষ্যতের জন্য তেল মজুত করে রাখতেও চাইছে না। বলতে পারেন এই প্রথমবার চিনের জন্য দুনিয়ার গরিব দেশগুলির কিছুটা ভাল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বাস্তবে এর কতটা সূদূরপ্রসারী ছাপ পড়ে।