শতবর্ষের দোরগোড়ায় প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপ
এ দিন বাকিংহ্যাম প্যালেসের তরফে ঘোষণা করে বলা হয়, "আজ সকালে উইন্ডসর প্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রিন্স ফিলিপ।"
লন্ডন: প্রয়াত হলেন ব্রিটেনের প্রিন্স ফিলিপ(Prince Philip)। শুক্রবার বাকিংহ্যাম প্যালেসের তরফে ডিউক অব এডিনবার্গ(Duke of Edinburgh)-র প্রয়াণের কথা ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর।
ব্রিটেনের কুইন দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছায়াসঙ্গী হিসাবেই দীর্ঘ আট দশক কাটিয়েছিলেন একদা সেনাবাহিনীর কম্যান্ডান্ট। সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি রানীর সঙ্গে নানা সেবামূলক কাজকর্মের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন। হৃৎপিণ্ডের সমস্যা ও সংক্রমণ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কিছুদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ দিন বাকিংহ্যাম প্যালেসের তরফে টুইট করে বলা হয়, “গভীর দুঃখের সঙ্গে কুইন তাঁর স্বামী, প্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অব এডিনবার্গের প্রয়াণের কথা ঘোষণা করেছেন। আজ সকালে উইন্ডসর প্রাসাদে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।” রাজ পরিবারের তরফে ঘোষণার পরই সমস্ত স্থানীয় চ্যানেলগুলিতে প্রিন্সের প্রয়াণের সংবাদ ঘোষণা করা হয়।
It is with deep sorrow that Her Majesty The Queen has announced the death of her beloved husband, His Royal Highness The Prince Philip, Duke of Edinburgh.
His Royal Highness passed away peacefully this morning at Windsor Castle. pic.twitter.com/XOIDQqlFPn
— The Royal Family (@RoyalFamily) April 9, 2021
আরও পড়ুন: ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কাঁদছে শিশু! অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার বাবা-মায়ের রক্তাক্ত দেহ
আগামী জুন মাসেই শতবর্ষে পা দিতেন প্রিন্স ফিলিপ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৭ সাল থেকেই নিভৃতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরই কুইন ও প্রিন্স পশ্চিম লন্ডনের উইন্ডসর ক্যাসেলে বসবাস শুরু করেন। সম্প্রতি জানুয়ারি মাসে তাঁরা করোনার প্রথম টিকা নিয়েছিলেন বলেও জানানো হয়েছিল।
২০১১ সালে তাঁর হৃৎযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ায় স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তাঁর কোমরের অস্ত্রোপচারও হয়। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর কেবলমাত্র গত জুলাই মাসে তাঁদের নাতনি প্রিন্সেস বেট্রিসের বিয়ের অনুষ্ঠানেই শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর পর এ বার বাংলাদেশ সফরে সেনাপ্রধান নরবণে